এই হামলাকে জঘন্য কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরান। দেশটির পারমাণবিক এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিন পারমাণবিক স্থাপনায় শক্রুর হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, বিশেষ করে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফেরেশন চুক্তি। খবর আল জাজিরার।
এই হামলার কিছুটা দায় ইরান দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকেও (আইএইএ)। নিন্দার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএইএর ‘উদাসীনতা’, এমনকি ‘সহযোগিতার’ মধ্যে আক্রমণগুলো ঘটছে। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা মহান ইরানি জাতিকে আশ্বস্ত করছে যে, শত্রুদের অশুভ ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও হাজার হাজার বিপ্লবী এবং বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞের প্রচেষ্টায় তারা পারমাণবিক শহীদদের রক্তের ফলস্বরূপ এই জাতীয় শিল্পের উন্নয়নের পথকে থামতে দেবে না।
আরও পড়ুন: ইরানে হামলার পর ট্রাম্প-নেতানিয়াহু ফোনালাপ
স্থানীয় সময় রোববার (২২ জুন) ভোরে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি জানিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা— ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’
এরপর হামলা হওয়ার কথা স্বীকার করে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র যে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা বলছে, আদতে সেখানে কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে। তাতে ধারণা করা হচ্ছে যে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগেই হয়তো ওই স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছে।