পাবনায় জেলা পরিষদের খেলার মাঠ জাল দলিল দিয়ে দখলের অভিযোগ

৩ সপ্তাহ আগে
পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের বাবুর বাগান সংলগ্ন জেলা পরিষদের একটি খেলার মাঠ দখল নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি পক্ষ জাল দলিল তৈরি করে এবং আদালতে মামলা করে মাঠটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর মৌজার ২ নম্বর খতিয়ানের এসএ-১১১ এবং আরএস-১১৯ দাগের পতিত জমিটি দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। জমিটি মূলত পাবনা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন। তবে সম্প্রতি পাশের টিকরি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন গং দাবি করছেন, তারা আদালতের রায়ের মাধ্যমে জমিটির মালিক হয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দেয়।

 

তাশ বিশ্বাস, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব বিশ্বাসসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, জমিটি এক সময় মুক্তা সুন্দরী নামের এক হিন্দু নারীর ছিল, যিনি দেশভাগের সময় ভারতে চলে যান। এরপর জমিটি জেলা পরিষদের নামে এসএ এবং আরএস রেকর্ডভুক্ত হয়। কিন্তু আবুল হোসেন জাল দলিল তৈরি করে জমিটি নিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা করেন। প্রথম মামলা খারিজ হলেও পরবর্তীতে আবার মামলা করেন এবং ডিক্রিপ্রাপ্ত হন। হাইকোর্টে আপিল করলেও সেটিও খারিজ হয়। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে (লিভ টু আপিল কেস নম্বর- ২৮৪৭/২৪)।

 

আরও পড়ুন: পাবনায় টিআর প্রকল্পে জেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

 

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, মামলার কোনো পর্যায়েই তারা নোটিশপ্রাপ্ত হননি। ফলে মামলা এবং রায়ের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। সম্প্রতি জমি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বিষয়টি তাদের নজরে আসে এবং তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিলের উদ্যোগ নেয়।

 

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা বলেন, ‘জমিটি নিয়ে অনেক আগে মামলা হলেও আমরা (জেলা পরিষদ) মামলার বিষয়টি এতদিন জানতেই পারিনি। কোনো সময় কোনো নোটিশ পাইনি। এখন যেহেতু বিষয়টি জানতে পেরেছি, আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

 

এ বিষয়ে বাদী আবুল হোসেন মারা যাওয়ায় তার বড় ছেলে আফজাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আরেক ছেলে আরজুল প্রামাণিক বলেন, ‘আমার বাবার জমি সরকারের নামে রেকর্ড হয়েছিল। পরে আমার বাবা মামলা করে রায় পান। হাইকোর্টেও আমরাই জিতেছি। এখন আরেকটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন