পাবনায় চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

১ সপ্তাহে আগে
শাহজাদপুরে শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে পাবনা থেকে ঢাকাগামী সকল দূরপাল্লার বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপ ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘটে পাবনা-ঢাকা রুটের বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পাবনা মোটর মালিক গ্রুপ, বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট আরও দুটি সংগঠন এই ধর্মঘটের আহ্বান জানায়।


শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে পাবনা জেলা মটর মালিক গ্রুপের অফিস সচিব আমিনুল ইসলাম বাবলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


সংগঠনগুলোর দাবি, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে পাবনার চালক ও শ্রমিকদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন।


২৫ জুনের ঘটনার সূত্র ধরে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ওই দিন শাহজাদপুরের 'নবীন বরণ' পরিবহনের একটি বাস নিয়ম না মেনে রুট ছেড়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় এক পাবনা শ্রমিককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।


এই ঘটনার প্রতিবাদে একাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন মালিক-শ্রমিক নেতারা।


পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের অফিস সচিব আমিনুল ইসলাম বাবলু বলেন, শাহজাদপুরের পরিবহন শ্রমিকরা পাবনার বাস চালকদের নিয়মিতভাবে হয়রানি করছে। ২৫ জুন বিনা অপরাধে আমাদের এক শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে। এমন ঘটনার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।


আরও পড়ুন: রাজধানীতে অবৈধ গণপরিবহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ ও পরিবেশ অধিদফতরের অভিযান


তিনি আরও বলেন, 'নবীন বরণ' পরিবহন নিয়ম ভেঙে চলে, আমাদের বাসগুলোকেও আগে যেতে দেয় না। কোনো রকম নিয়ম-শৃঙ্খলার তোয়াক্কা নেই। এমন আচরণ আর বরদাস্ত করা হবে না।


পাবনা মোটর মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাদশা বলেন, বারবার আশ্বাসের পরও শাহজাদপুরের শ্রমিকরা তাদের আচরণ পরিবর্তন করছে না। ২৫ জুনের ঘটনায় একাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া বাস চালানো সম্ভব নয়।


এই ধর্মঘটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। পাবনা থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা পরিবহন না পেয়ে পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।


সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থায়ী সমাধান এবং প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া কোনোভাবেই বাস চলাচল পুনরায় শুরু করা হবে না। এর আগেও একাধিকবার ধর্মঘট ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হলেও, পুনরায় একই ধরনের সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন