যমুনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙছে নদী, ভাঙছে নদীর পাড়। বিলীন হচ্ছে, কোটি কোটি টাকার,বহুতল সরকারি বিদ্যালয় ভবন, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা। হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যালয় ভবন, কৃষি জমি, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়িসহ বহু স্থাপনা। শেষ সম্বলটুকু নিয়ে আতঙ্কে আর কষ্টের দিন কাটছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।
নদীর তীরবর্তী মানুষের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে, ভাঙনের শিকার হলেও, টেকসই ও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বার বারই নদীতে যাচ্ছে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা। এবছর নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুন।
নদীরপাড়ে বাসিন্দা মনসুর আলী জানান, দুইবার বাড়িঘর ভেঙে গেছে। আবার ছেলে মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন বুনেছিলাম এখানে বাস করার। কিন্তু সেটাও ভাঙে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ফারাক্কার ভাটিতে ২৫ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ, ব্যয় ১৭০০ কোটি
দৌলতপুরের সিরাজ মিয়া বলেন, ‘জীবন মানেই যুদ্ধ, কতবার যুদ্ধ করব, ছেলেকে পড়তে দিয়েছিলাম স্কুলে, তিনতলা ভমনটি ভেঙে গেল। এখন স্কুল খুললে কোথায় পড়বে কোথায় যাবে চিন্তা বিষয়।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, পদ্মা-যমুনার বামতীরসহ জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর ৬০টি স্থান ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলো রক্ষায় ১৪ হাজার জিও ব্যাগের মাধ্যমে আপৎকালীন ভাঙন রক্ষায় কাজ শুরু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত সাতদিনে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন নদীতে বিলীন। এছাড়াও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, ৫টি বসতবাড়িসহ পঞ্চাশ হেক্টর ফসলের জমি।