বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দেয়া আদালতের আদেশ অনুসারে, সংসদ সদস্য এবং জ্যেষ্ঠ নেতাসহ ৫৮ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকিদের এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব খান এবং সিনেটের বিরোধীদলীয় নেতা শিবলি ফারাজ। তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই সাজা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন রাজনৈতিক দল গড়লেন ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী রেহাম
এদিকে ইমরান খানের দল পিটিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ছয়জন জাতীয় সংসদ সদস্য, একজন সিনেটর ও একজন প্রাদেশিক সংসদ সদস্যকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহেও বেশ কয়েকজনকে একই মামলায় দণ্ডিত করা হয়।
পিটিআই চেয়ারম্যান গহর আলী খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে এটিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছি। এই ধরনের রায় গণতন্ত্র এবং সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য খারাপ।’
২০২৩ সালের ৯ মে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ করে পিটিআই সমর্থকরা। বিক্ষোভ এক পর্যায়ে সহিংস হয়ে ওঠে ও দাঙ্গায় রূপ নেয়। বিক্ষোভকালে সামরিক স্থাপনা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভবনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমনকি লাহোরে সেনা কমান্ডারের বাসভবনেও আক্রমণ করা হয়। দাঙ্গার পর দেশজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ। পিটিআইর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে মুক্ত করতে দেশে ফিরতে চান ছেলেরা, গ্রেফতারের হুমকি সরকারের
পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে। যদিও ইমরান খান ও তার বলেছে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিকভাবে উদ্ধেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ক্ষমতায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখার জন্যই এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।
]]>