সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের নাগরিকদের লক্ষ্য করে একের পর এক হামলার পর, বেইজিং তাদের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপত্তা উদ্যোগ নিতে পাকিস্তানকে চাপ দিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পাকিস্তানে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী মহড়ার একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:ইসলামাবাদে দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা কেন?
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের একটি বৈঠক হয়েছে; যেখানে তারা এই ‘কমপ্রিহেনসিভ অপারেশনে’র অনুমোদন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
তবে এটি স্থল অভিযানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি এর সঙ্গে বিমান হামলা যোগ হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
হামলার ধরন নিয়ে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সামরিক বাহিনীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন জবাব দেননি।
এদিকে বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলুচিস্তানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলার জন্য পাকিস্তানের পরিকল্পনায় চীন যুক্ত হবে কিনা জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, নীতিগতভাবে, চীন দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতাকে সমর্থন করে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো তৎপরতা হলেও চীন তাতে সমর্থন দেবে। এছাড়া দুদেশের জনগণের জন্য ভালো হয় এমন যে কোনো পদক্ষেপে সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত চীন।
আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তবর্তী দুর্গম অঞ্চলে পাক সেনাবাহিনীর বিশাল উপস্থিতি রয়েছে। যেখানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো কয়েক দশক ধরে একটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযান চালানো হয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) বিরুদ্ধে। যারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দীর্ঘকালীন মিত্র চীনের সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি নেতা বেনি তাইসহ ৪৫ স্বাধীনতাকামীর কারাদণ্ড
]]>