পাকিস্তানে বায়ুদূষণজিত রোগ কমাতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ

১ সপ্তাহে আগে
তীব্র বায়ু দূষণঘটিত রোগে রাশ টানতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ বেশিরভাগ বাইরের কাজকর্মে নিয়ন্ত্রণ চাপিয়েছে; সোমবার থেকে কিছু এলাকায় তাড়াতাড়ি দোকান, বাজার ও মল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। লাহোরসহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ইতোমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে এবং  উদ্যান ও চিড়িয়াখানার মতো জনপরিসরগুলিকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সুইডেনের সংস্থা আইকিউএয়ারের লাইভ রেটিং অনুযায়ী, বায়ুর মানের নিরিখে লাহোর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। রবিবার বিকালে জারি করা এক নির্দেশিকায় পাঞ্জাব সরকার বলেছে, লাহোর, মুলতান, ফয়সালাবাদ ও গুজরানওয়ালা জেলায় শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের রোগ, চোখ ও গলায় জ্বালা বা প্রদাহ ও চোখে পিংক আই (কনজাংটিভাইটিস) ইত্যাদি রোগীর সংখ্যা নজিরবিহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণ, ধোঁয়া, ধুলো বা রাসায়নিকের সংস্পর্শের কারণে কনজাংটিভাইটিস রোগের প্রকোপ জনস্বাস্থ্যের পক্ষে গুরুতর ও অনিবার্য হুমকি। এই নির্দেশিকা বলছে, বাড়ির বাইরে খেলাধুলা, প্রদর্শনী ও উৎসব, রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার মতো ‘আউটডোর’ ক্রিয়াকলাপ নিষিদ্ধ করা হলেও “অপরিহারযোগ্য ধর্মীয় আচারগুলিকে” এই নির্দেশিকার বাইরে রাখা হয়েছে। ওষুধের দোকান, তেলের ডিপো, দুগ্ধজাত পণ্যের দোকান, ফল ও সবজির দোকানগুলিকেও একইভাবে এই নির্দেশিকার বাইরে রাখা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টার মধ্যে এই দোকানগুলি বন্ধ করতে হবে। সোমবারেও লাহোরের বায়ুর মান বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। আইকিউএয়ারের বক্তব্য অনুযায়ী, এই শহরের ইন্ডেক্স স্কোর ৬০০-র উপরে। তবে, চলতি মাসে কিছু জায়গায় এই স্কোর ১৯০০ স্পর্শ করেছিল। এদিক থেকে মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ০-৫০ স্কোর থাকলে ‘ভাল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি শীতে দক্ষিণ এশিয়ার নানা অংশ বিষাক্ত ও ক্ষতিকর ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে যায় কেননা কারখানার চুল্লি থেকে নির্গত ধুলো ও ধোঁয়া ঠাণ্ডা বাতাসে আটকে যায়। চলতি বছরে পাঞ্জাব, বিশেষ করে তাদের বিষাক্ত বাতাসের জন্য দায়ী করেছে ভারত থেকে আসা দূষণকে। আইন বিষয়ক সংবাদ সংস্থা বার অ্যান্ড বেঞ্চ জানিয়েছে, ভারতের সুপ্রিম আদালত সোমবার দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে আতশবাজির উপর “চির-নিষেধাজ্ঞা” চাপানোর বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে।
সম্পূর্ণ পড়ুন