২০২৪ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ কারস্টেন। তবে সে বছরের অক্টোবরেই হুট করে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। গুঞ্জন ছিল, বোর্ডের সঙ্গে অভিমান করে দায়িত্ব ছেড়েছিলেন কারস্টেন। এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন তিনি।
সম্প্রতি উইজডেনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কারস্টেন বলেন, ‘(পাকিস্তানে) শেষ কয়েক মাস ছিল টালমাটাল পরিস্থিতি। আমি দ্রুতই বুঝে গিয়েছিলাম যে, খুব বেশি সময় আর এখানে প্রভাব রাখতে পারব না। যখন আমাকে দলের সিলেকশন (কমিটি) থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো এবং দল গঠনে আমার কোনো ভূমিকা থাকবে না জানার পর আমার পক্ষে কোচ হিসেবে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি সেখানে আর কোনো ইতিবাচক কর্তৃত্ব অনুভব করিনি।’
পাকিস্তানে ৬ মাস দায়িত্ব পালনের পর অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে চাকরি ছাড়েন কারস্টেন। কারণ ছিল, কোচ হয়েও দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাকে না ডাকা। এমন ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের তৎকালীন টেস্ট কোচ জেসন গিলেস্পির সঙ্গে। তাই গিলেস্পিও থাকেননি বেশিদিন। ডিসেম্বরে তিনি পদত্যাগের সময় পাকিস্তানে এই অধ্যায়কে কোচিং ক্যারিয়ারের তিক্ত অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করে গেছেন।
তবে এত অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতার পরেও ভবিষ্যতে আবারও পাকিস্তানের কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কারস্টেন। তবে এক্ষেত্রে তার সরাসরি শর্ত একটাই, বোর্ডের অহেতুক কোনো হস্তক্ষেপ চলবে না। বোর্ড কর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, কোচিং করাতে এসে কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করতে পারবেন না তিনি।
কারস্টেন বলেন, ‘যদি আগামীকাল আমাকে ফের পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমি যাব। তবে আমার এই যাত্রাটা হবে খেলোয়াড়দের জন্য এবং সঠিক পরিবেশের অধীনে যেতে চাই। অন্যান্য এজেন্ডা নিয়ে ভাবার বয়স নেই আমার। আমি শুধু ক্রিকেট দলের কোচ হয়ে খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারাই ক্রিকেট দল পরিচালনা করা উচিৎ। যখন এভাবে চলবে না এবং বাইরে থেকে প্রভাব বিস্তারকারী মাত্রাতিরিক্ত আওয়াজ আসে, তখন নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা যে কারও জার্নি কঠিন হয়ে যায়। তখন আপনার মনে হতে পারে দলটাকে যেভাবে চালানো উচিৎ এবং যে উচ্চতায় নিতে পারবেন সেটা অসম্ভব। আমি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ভালোবাসি, তারা অনেক অসাধারণ। আমার স্বল্প সময়ের অভিজ্ঞতায় তাদেরকে অনেক চাপ সামলাতে দেখেছি। যখন ম্যাচ হারে, তাদের জন্য অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং এটি তাদের ওপর বেশ প্রভাব ফেলে।’