স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গীরচর এলাকার বাসিন্দা ইনতাজ আলী দীর্ঘদিন কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বয়স ও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এলাকার ৬ জনের কাছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা পাওনা থাকলেও বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও টাকা ফেরত পাননি তিনি।
ইনতাজ আলী জানান, দেনাদারদের কাছ থেকে টাকা ফেরত পেতে বহুবার বাড়ি বাড়ি গেছেন, থানায় অভিযোগও করেছেন। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪ ফুট বাই ৫ ফুটের একটি ডিজিটাল ব্যানার তৈরি করে বাজারে ঝুলিয়ে দেন।
ব্যানারে লেখা হয়েছে:
- দিলু ব্যাপারী: ৬ হাজার টাকা
- হুমায়ুন ব্যাপারী: ২ হাজার ৬০০ টাকা
- সুজন ব্যাপারী: ৭৫০ টাকা
- নজরুল ব্যাপারী: ২ হাজার ৪০০ টাকা
- বারেক গাছের ব্যাপারী: ১৩ হাজার টাকা
- রতন গাছ কাটে: ২০০ টাকা
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীর সঙ্গে তরুণীর ধস্তাধস্তি, যা দেখা গেল সিসিটিভি ফুটেজে
ব্যানারের নিচে উল্লেখ আছে, ‘থানা থেকে অর্ডার, এই বিষয়টা এলাকাবাসীকে জানানোর জন্য। যদি এই টাকা না দেন তাহলে থানায় মামলা হবে।’
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে দেনা আদায়ের প্রতিবাদী কৌশল হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে আশঙ্কা করছেন এতে সামাজিক বিরোধ বাড়তে পারে।
ইনতাজ আলী বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। হাতে পায়ে ধরেও টাকা পাচ্ছি না। তাই লজ্জা দিতে ব্যানার দিয়েছি। তাতেও কাজ না হলে মাইক নিয়ে এলাকায় ঘুরব।’
নান্দাইল থানার ওসি খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহবুব বলেন, ‘পাওনা টাকা না দেয়া দুঃখজনক। তবে এভাবে প্রকাশ্যে প্রচার করা উচিত নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
]]>