দেখলে মনে হয় এটি কোনো আবাসিক এলাকা। অথচ জায়গাটি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার আওতায় পরিচালিত সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাজার দখল করে নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন। নিয়ম ভেঙে গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন।
একসময় এ বাজার থেকেই জেলার পাইকাররা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও গবাদিপশু কেনাবেচা করতেন। তবে বর্তমানে ভবন নির্মাণে বাজারের ভেতরে বাইরে জায়গা সংকট দেখা দেওয়ায় দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এতে কমেছে রাজস্ব আয়ও।
এ অবস্থায় বাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ও অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ কয়েক দফা প্রচারণা চালিয়ে তালিকা তৈরি করেছে এবং দখলদারদের চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু কার্যত পদক্ষেপ থমকে আছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, যথাযথ উদ্যোগের অভাবেই বাজারটি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সেটেলমেন্ট অফিসে দুদকের অভিযানে ৪ দালাল আটক
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ‘হাটের জমি যদি দখল হয়ে যায়, তবে সাধারণ মানুষের জমি দখল হতে আর সময় লাগবে কতটুকু? সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রশাসন মুখে দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেই। চাইলে প্রশাসন বাজারের আগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কাজ চলছে।’
পৌর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকেই বাজারটি পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রায় ১৭ বছর আগে এ হাট ইজারা দেয়া হয়েছিল পাঁচ লাখ টাকায়। কিন্তু দখলের কারণে রাজস্ব আয় কমতে থাকায় গত বছর ইজারা দেয়া হয়েছে মাত্র ৭০ হাজার টাকায়। এতে সরকারের রাজস্ব আয় ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
]]>