পল্লবীতে বাসায় ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

২ সপ্তাহ আগে
রাজধানীর পল্লবীতে বাসায় ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গাউস মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ মে) দুপুরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত দুজন হলেন, দোলন আক্তার দোলা (২৯) ও তার স্বামী স্বামী নাজমুল হোসেন পাপ্পু (৩৫)। দোলা উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএমের ছাত্রী। পল্লবী থানার মিরপুর ১১ বি ব্লকের ৩৫ নম্বর বাড়ির ৫ম তলায় সাবলেট থাকতেন। তার স্বামী পাপ্পু বরগুনায় চাকরি করতেন। মাঝে মধ্যে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে তিনি মিরপুরের বাসায় আসতেন।

 

গ্রেফতার গাউসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তিনি সৌদি প্রবাসী। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায়। তিনি সৌদি আরবে থাকার সময় নয় মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে দোলার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। গত জানুয়ারিতে অবিবাহিত গাউস সৌদি আরব থেকে ঢাকায় আসেন।

 

মিরপুর-১১ নম্বরে দোলার বাসার কাছে তিনি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দোলার বাসায় যাতায়াত ছিল তার। বুধবার সকালে দুজনের একসঙ্গে নাশতা করার কথা ছিল। সকাল ৯টার দিকে তিনি দোলার বাসার সামনে যান। এ সময় দেখেন বাসা থেকে বের হয়ে দোলা রিকশায় করে এক ব্যক্তির সঙ্গে যাচ্ছেন। বাসার পাশে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি দোলার স্বামী। স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে এভাবে দেখে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় তার। সেখান থেকে নিজের বাসায় ফিরে যান।

 

দুপুর দেড়টায় গাউস ছুরি নিয়ে দোলার পাঁচতলার বাসায় গিয়ে কলিং বেল চাপেন। ভেতর থেকে এক নারী দরজা খুলে গাউসের হাতে ছুরি দেখে ভয় পেয়ে বের হয়ে আসেন। তখন গাউস বাসায় ঢুকলে ওই নারী বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান। এরই মধ্যে ঘরে শুয়ে থাকা দোলার স্বামীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এরপর দোলাকে একইভাবে খুন করা হয়।

 

আরও পড়ুন: কমলাপুরে আবাসিক হোটেল থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

 

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাউস মিয়াকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে রক্তমাখা ছুরিও জব্দ করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ইউনিট ওই বাসায় হত্যার আলামত সংগ্রহ করে। সন্ধ্যায় দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

 

পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সালেহ মুহম্মদ জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে ওই দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতার গাউস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন