পর্যটকদের বাঁচাতে বীরের মতো বুক পেতে দেন আদিল হোসেন

২ সপ্তাহ আগে
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুক হামলায় পর্যটকসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, হামলায় শুধু হিন্দুদের ‘টার্গেট’ করা হয়েছে। তবে নিজের জীবনের বিনিময়ে সেই দাবিকে ভুল প্রমাণ করেছেন আদিল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মুসলিমরাও।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, হামলার ঘটনার পর, বিগত ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। মসজিদগুলোর লাউডস্পিকারে ঘোষণা দিয়ে দিয়ে স্থানীয় জনগণকে এই শাটডাউনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় শুরু হয় প্রতিবাদ।

 

এনডিটিভি বলছে, মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) হামলার পর থেকে পাহেলগামে বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে সৈয়দ আদিল হোসেন শাহ নামে একজন ছিলেন, যিনি পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়ার ব্যবস্থা করতেন এবং হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করার সময় তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। 

 

আরও পড়ুন: বন্দুক হামলা /কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু

 

পহেলগামের স্থানীয় দোকানি এবং হোটেল মালিকরা এদিন প্রতিবাদ মিছিলও বের করেন। তারা এনডিটিভিকে বলেছেন, এখনও আটকে থাকা পর্যটকদের সব ধরনের সহায়তা দেবেন। যার মধ্যে ১৫ দিনের জন্য বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত।  

 

আসিফ বুরজা নামের একজন হোটেল মালিক এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন। 

 

তিনি এনডিটিভিকে বলেন, 

এটি পর্যটনের বিষয় নয়, অর্থনীতির বিষয় নয়, আমাদের মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে গেছে। তাদের কী দোষ ছিল? তারা এখানে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। আমরা কেবল নিহতদের পরিবারের কথা ভাবছি।

 

পর্যটক এবং তাদের পরিবারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছেন আরও একজন হোটেল মালিক। 

 

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে হামলার চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ

 

অন্য একটি বিক্ষোভে অংশ নেয়া লোকেরা এনডিটিভিকে বলেছেন, তারা এ ধরনের হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকবেন। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমরা সম্পূর্ণরূপে সেনাবাহিনীর সাথে আছি। আমরা এটা সহ্য করব না। আমাদের মূলে আঘাত করা হয়েছে। আমরা মানুষ। এটা টাকা বা ব্যবসার বিষয় নয়।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন