সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকেই পর্যটকরা ভিড় করেছেন সিম্বল অব রাঙ্গামাটি খ্যাত ঝুলন্ত সেতুতে। শুধু ঝুলন্ত সেতুই নয় এমন ভিড় লক্ষ্য করা গেছে পলওয়েল পার্ক, নয়াভিরাম আসামবস্তি সড়ক, মেঘের রাজ্য সাজেক, সুবলং ঝর্ণাসহ সব স্পটে। যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্ত দূর করতে পরিবার পরিজন নিয়ে হ্রদ পাহাড়ের নগরীতে ভিড় করেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। আগত পর্যটকরা করছের হ্রদ ভ্রমণ। যন্ত্র চালিত নৌকায় বসে উপভোগ করছেন নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর সবুজ প্রকৃতি। সাথে পাহাড়ি ঝর্নার জলে গা ভিজিয়ে নিজেকে করছেন সতেজ।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘ছবিতে রাঙ্গামাটিকে যতটা সুন্দর দেখেছি, বাস্তবের রাঙ্গামাটি তার চেয়েও অনেক সুন্দর। থাকি যান্ত্রিক শহরে। ঈদের ছুটিতে সবাই মিলে চলে আসলাম হ্রদ পাহাড়ের এই নগরিতে। সবুজ প্রকৃতি বিশুদ্ধ বাতাস প্রাণ ভরে উপভোগ করলাম। এই প্রশান্তিকে ভাষায় প্রকাশ করা যায়না, শুধুই উপভোগ করতে হয়।’
গাজীপুর থেকে আসা শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রথম বার রাঙ্গামাটিতে আসলাম। এসেই এই জেলার প্রেমে পড়ে গেলাম। আমাদের দেশেও যে এত সুন্দর জায়গা আছে সেটা আমার জানা ছিল না। সুযোগ পেলেই চলে আসবো এখানে।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে বোট নিয়ে গেলাম সুবলং ঝর্ণায়। বন্ধুরা মিলে ইচ্ছামত ঝর্ণার পানিতে ভিজেছি। ভুলেই গিয়েছিলাম আমাদের বয়স কত। মনে হচ্ছিল সেই শৈশবে ফিরে গেছি। আর যাওয়ার পথে পরিবেশটা ছিল জাস্ট ওয়াও। উঁচু উঁচু সবুজ পাহাড়। তার পাশ দিয়ে চলছে বোট। প্রকৃতির এমন রূপ জীবনে প্রথম দেখলাম। এক কথার এই ট্যুরটা মনের গহীনে স্মৃতি হয়ে থাকবে আমৃত্যু।’
আরও পড়ুন: ঈদে খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়
পর্যটনখাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান পর্যটকের এমন চাপ থাকবে ১৩ জুন পর্যন্ত। জেলার দেড় শতাধিক কটেজ শতভাগ বুকিং রয়েছে। আবাসিক হোটেলও প্রায় ৯০ ভাগ বুকিং আছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
ঈদের তৃতীয় দিন বিভিন্ন ঘাট থেকে পাঁচ শতাধিক বোট পর্যটক নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে বিভিন্ন গন্তব্যে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙ্গামাটি জোনের উপ-পরিদর্শক কাজী গোলাম রসুল বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। জেলার প্রতিটি স্পটে আমাদের টিম অবস্থা করছে। আগত পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হ্রদেও স্পিড বোট দিয়ে টহল দেয়া হচ্ছে।’