ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা মেনে নিয়ে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা করছেন তারা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) 'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রত্যাশা, বাধা ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "বিপক্ষীয় স্বার্থ রক্ষা নিশ্চিত করে আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব বলে আশাবাদী।"
সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সোশিওলজি (পিএসএস) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। হোসেন বলেন, "বাংলাদেশের কিছু উদ্বেগ ছিল। বিগত সরকার ভারতের সঙ্গে অমিমাংসিত যেসব বিষয় সমাধানের চেষ্টা করেছিল, তার কিছু সমস্যা এখনও রয়েছে।"
ভারত পরিবর্তিত পরিস্থিতি উপলব্ধি করে এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তবে যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু বাধা থাকে যা স্বাভাবিক বলে স্বীকার করেন তিনি।
হোসেন বলেন, "৫ আগস্টের পর সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে, এটাই বাস্তবতা।"
এর আগে শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ভারতের লোকসভায় পাঁচটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।
জয়শঙ্কর বলেন, "ভারত সরকার ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসসহ বিভিন্ন সময়ে সারা বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং মন্দির ও ধর্মীয় স্থানে হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা দেখেছে।"
তিনি বলেন, ভারত সরকার এসব ঘটনা 'গুরুত্বের সঙ্গে' নিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।