শনিবার (৭ জুন) দুপুর ১২টা থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে শুরু হয় বর্জ্য অপসারণের কাজ। প্রথম ধাপে ছোট ভ্যানে করে বাসাবাড়ি ও কোরবানির স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নেয়া হয় নগরীর নির্ধারিত এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) পয়েন্টে।
দ্বিতীয় ধাপে দুপুর ২টার পর থেকে শুরু হয় মূল অপসারণ কাজ। নগরীর ১১০টি এসটিএস পয়েন্ট থেকে ৮০টি বড় ট্রাক বর্জ্য বহনের কাজে যুক্ত হয়, যেগুলো নগরীর বিভিন্ন এসটিএস পয়েন্ট থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনে। পুরো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন কেসিসির ৮৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা দুপুর থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ৮৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাঠে রয়েছেন। ৮০টি ট্রাক দিয়ে বর্জ্য অপসারণ চলছে। আশা করছি রাত ৮টার মধ্যে নগরীর সব এলাকায় বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হবে।’
বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি নগরীর প্রতিটি প্রধান সড়ক, মোড় এবং পশু কোরবানির স্থানগুলোতে ছিটানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার এবং স্যাভলন মিশ্রিত পানি। কেসিসি বলছে, দুর্গন্ধ দূর করা এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেই এই স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্জ্য অপসারণ: চট্টগ্রামে মাঠে ৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী
খুলনা সিটি করপোরেশন নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, নির্ধারিত স্থান ছাড়া কোথাও বর্জ্য না ফেলতে এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজে সহযোগিতা করতে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কেউ অবহেলা করলে নেয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
খুলনা মহানগরীতে প্রায় ৪ লাখ পরিবার রয়েছে। ঈদের পরদিন প্রতি বছরই বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই এ দিনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাড়তি প্রস্তুতি নেয় সিটি করপোরেশন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অতীতের চেয়ে এবার দ্রুততার সঙ্গে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় বিশেষ নজর দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।