শুক্রবার (৪ এপ্রিল) নয়ডার সেক্টর ১৫ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের মতে, ঝগড়ার সময় স্বামী নুরুল্লাহ হায়দার স্ত্রী আসমা খানের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়।
৪২ বছর বয়সি আসমা পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং এরপর নয়ডার সেক্টর ৬২-এ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাস / মুসলিমদের বিক্ষোভে উত্তাল ভারত
অন্যদিকে নুরুল্লাহ হায়দার বিহারের বাসিন্দা। তিনিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক। তবে বর্তমানে বেকার। তাদের ২০০৫ সালে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নেয়। ছেলেটা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। মেয়েটা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতির ছেলে থানায় ফোন করে খুনের ঘটনা জানান। নয়ডা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রামবদন সিংহ জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ও একটি ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল পৌঁছায়। এরপর ভুক্তভোগীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বিবাহবার্ষিকীতে নাচের সময় হার্ট অ্যাটাক, ওয়াসিমের মৃত্যু
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য স্ত্রীকে সন্দেহ করে আসছিলেন স্বামী নুরুল্লাহ।
নুরুল্লাহর এক ভাই জানিয়েছেন, তার ভাইয়ের মেয়ে আজ সকালে (৫ এপ্রিল) ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। গত কয়েক দিন ধরেই মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া চলছিল। তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে তা আশা করেননি বলেও জানান তিনি।
]]>