পদ্মায় ফিরেছে তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা

৬ দিন আগে
পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় নতুন করে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, টিকটিকিপাড়া, মসলেমপুরসহ আশপাশের প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙনে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও নানা স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, উজান থেকে নেমে আসা পানি, টানা বর্ষণ ও নদীর প্রবল স্রোতের কারণে পদ্মায় হঠাৎ করে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মুন্সিপাড়া ও টিকটিকিপাড়ায় ভাঙন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।


ভাঙনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী রাতের ঘুম হারাম করে নদীর পাড়ে প্রহর গুনছের। আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন শত শত মানুষ। এরইমধ্যে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে কয়েক একর ফসলি জমি ও বসতঘর। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পদ্মা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ।


এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী নদী পাড়ে মানববন্ধন করে অবিলম্বে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা বলেন, নতুন করে আর কোনো আশ্বাস নয়, এখন চাই দ্রুত বাস্তব পদক্ষেপ।


আরও পড়ুন: নদী গিলে খাচ্ছে ভিটেমাটি, বরিশালে তীব্র ভাঙন আতঙ্কে বাসিন্দারা


ভুক্তভোগীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে নানা আশ্বাসের পরও কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে। তাই এবার যেন প্রতিশ্রুতির চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপই হয় সরকারের পক্ষ থেকে; এটাই নদী পাড়ের মানুষের চাওয়া।


এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, ‘তালবাড়িয়া থেকে ৯ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে প্রায় ১,৪৭২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। মুন্সিপাড়া, টিকটিকিপাড়া এবং আশপাশের এলাকায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। আমরা ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন