ঘোষণা এমনভাবে দিতে হবে যাতে প্রকৃত মালিক পর্যন্ত তা পৌঁছার সম্ভাবনা থাকে। কুড়িয়ে পাওয়ার জায়গায় মসজিদ, বাজার, স্টেশন ইত্যাদিতে ঘোষণা দিতে হবে। বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কমিউনিটি গ্রুপ থাকে। সেসবে ঘোষণা দিতে হবে।
হজরত জাইদ ইবনে খালিদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, কোনো হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আল্লাহর রসুল (স.)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি শনাক্তকারী কোনো লোক পাওয়া যায়, তাহলে তাকে তা ফেরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে, তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখো এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার করো। তারপর মালিক এসে গেলে, তার কাছে এটা ফিরিয়ে দিও। (ইবনে মাজাহ ২৫০৭; তিরমিজি ১৩৭৩)
আরও পড়ুন: ভিডিও গেমসে অর্ধনগ্ন কার্টুন দেখার বিধান কী?
এর পরও যদি মালিক না পাওয়া যায়, মালিকের সন্ধান পাওয়া যাবে না বলে প্রবল ধারণা হয় তাহলে তা কোনো গরিব-মিসকিনকে সদকা করে দেয়া যাবে। প্রাপক দরিদ্র হলে সে নিজেও তা রেখে দিতে পারবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/২৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৭৮)
যদি টাকার পরিমাণ এত কম হয় যে, মালিক তা অনুসন্ধান করবে না, তাহলে কোনো ফকিরের কাছে তা সদকা করে দেয়া যাবে।
]]>