বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে বরিশাল বোর্ড।
এতে দেখা যায়, সদর উপজেলার মিয়াবাড়ি মডেল হাই স্কুল থেকে ১ জন, মির্জাগঞ্জ কিসমতপুর গার্লস স্কুল থেকে ২ জন, দশমিনা পূর্ব আলীপুর হাই স্কুল থেকে ৮ জন এবং দুমকি জলিশা গার্লস স্কুল থেকে ১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এদিকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পটুয়াখালী জেলায় গড় পাসের হার ছিল ৫৫.৭২ শতাংশ, যা বরিশাল বোর্ডের গড় ৫৫.১৮ শতাংশের চেয়ে কিছুটা বেশি। তবে চারটি বিদ্যালয়ের শূন্য পাস পরিস্থিতি জেলার শিক্ষার মান ও প্রশাসনিক তদারকির প্রশ্ন তুলেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি বেতন-ভাতা ও অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও একটিও শিক্ষার্থী পাশ না করায় প্রতিষ্ঠানগুলো হাস্যরস ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাত শিক্ষকের বিদ্যালয়ে ৫ পরীক্ষার্থী, চারজনই ফেল
অনেক অভিভাবক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা কীভাবে বছরের পর বছর দায়িত্ব পালন করছেন?
ফলাফল ঘোষণার পর একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল করেছে, সেখানে নীতিমালার আলোকে বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা জেলা পর্যায়ে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।’