মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে সব ক্লাস, পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন, কর্মবিরতি ও হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ রেখে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন ছাত্র-ছাত্রী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেন তারা। পরে মিছিল পুনরায় ক্যাম্পােস ফিরে এসে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক এবং চিকিৎসক এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ দাবিতে খুমেক শিক্ষার্থী-চিকিৎসকদের বিক্ষোভ
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মনিরুজ্জামান ও উপাধ্যক্ষ ডা. এফ এম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এ আন্দোলন পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যে। অনেকে এসএসসি পাস করে যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিচ্ছেন। এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে এর প্রভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। এমবিবিএস ডাক্তার কোনো ওষুধ লেখার আগে ওই ওষুধের গুণাগুণ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিন্তা করেন। এদিক দিয়ে ম্যাটস এবং ডিএমএফ উনারা ওষুধ লেখার আগে গুণাগুণ এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা না রেখেই লিখে দিচ্ছেন। তাদের ওটিসি ড্রাগ ছাড়া অন্য ওষুধ প্রয়োগের অধিকার দেয়া উচিৎ নয়। এ জন্যই তারা সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেছে। আগামী ১২ মার্চ যার শুনানি রয়েছে। উচ্চতর আদালত এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের পক্ষে রায় দিয়ে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে গতিশীল করবেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে খুলনার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ
তারা আরও বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ডা. লিখতে পারবে না। অবিলম্বে ৫ দফা দাবি পূরণ করা না হলে আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।