জানা যায়, ওই ট্রেনের লাগেজ ভ্যানে ফল ও সবজি পরিবহন করা যাবে। রেফ্রিজারেটর লাগাজ ভ্যানে হিমায়িত পণ্য মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা হবে। সব মিলিয়ে ২০৩ মেট্রিক টন সবজি, ফল, মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা যাবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশীর বিভাগীয় কমার্শিয়াল অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল’ ট্রেনটি ছেড়ে যাবে। ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল’ ট্রেনটিতে ৭টি কোচ রয়েছে। ফল ও সবজির ৬টি লাগেজ ভ্যান (কোচ) ও একটি রেফ্রিজারেটর লাগেজ ভ্যান রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার থেকে লাগেজ ভ্যান চালু করবে রেলওয়ে
তিনি আরও বলেন, ‘রেফ্রিজারেটর লাগেজ ভ্যানে ২৯ মেট্রিক টন মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা যাবে। আর ৬টি লাগেজ ভ্যানে ১৭৪ মেট্রিক টন সবজি ও ফল পরিবহন করা যাবে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা নিয়মিত হারে উৎপাদিত পণ্য পরিবহন করতে পারবেন। এ ট্রেনের চাহিদা বাড়লে প্রতিদিন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত কোনো টাকা আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুলিরাও অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবেন না।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা যেন সঠিক মূল্য পান সে জন্য এ ট্রেন চালু করা হয়েছে। পণ্যর বাজার উঠানামা করছে বন্যা ও সিন্ডিকেটের কারণে। সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে। অল্প খরচে দ্রুত সময়ে ঢাকাসহ অন্য স্থানে পণ্য পৌঁছে যাবে। ওয়াগনগুলোতে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খাদ্যসামগ্রী বুকিং ছাড়াই যশোর ছাড়ল স্পেশাল ট্রেন
পাবনার ঈশ্বরদী আওতাপাড়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গার হাট থেকে সবজি কিনে নিয়ে যাই কৃষি স্পেশাল ট্রেনে পরিবহনের জন্য। তিনি ৫০ কেজি করে পটল ও ঢেঁড়স নিয়ে যান ট্রেনে; ভাড়া ৭৮ টাকা। ট্রেনে দুই বস্তা পটল ও এক বস্তা ঢেঁড়স নিয়ে যান বলে জানান তিনি।