শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে উপজেলার নলদী ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
পরিবারের দাবি, গৃহবধূর স্বামী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী শহিদুল পলাতক রয়েছেন।
নিহত সালমা আক্তার নলদী ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে। তার স্বামী অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামের সালাম মোল্যার ছেলে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সালমা আক্তারের প্রথম পক্ষের আট বছর বয়সী মেয়েসহ মাস ছয়েক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শহিদুল ইসলাম। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে শহিদুল তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন। পাশাপাশি শহিদুল তার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমার বাবার বাড়িতেও যাতায়াত করতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সালমার সঙ্গে শহিদুলের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। বৃহস্পতিবার রাতে সালমা আক্তারের বসত বাড়িতে যান তার স্বামী শহিদুল। রাতের খাবার খেয়ে যথারীতি ঘুমিয়ে পড়েন পরিবারের সবাই।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পরে শুক্রবার সকালে সালমার মেয়ে ঘরে কাউকে না দেখতে পেয়ে তার মাকে খোঁজাখুঁজি করেন। রাতে শহিদুলকে বাড়িতে অবস্থান করতে দেখলেও সকালে তাকে কেউ খুঁজে পাননি। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে সালমার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে স্বজন ও স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নলদী পুলিশ ফাঁড়ি ও লোহাগড়া থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পলাতক স্বামীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’