শনিবার (৭ জুন) সাকলে বন্দিদের ঈদ, জানতে সময় সংবাদ হাজির হয় নড়াইল জেলা কারাগারে।
ঈদের দিন সকালে গোসল সেরে ঈদ জামাতে হাজির কারাবন্দিরা। নামাজ শেষে চিনিগুড়া পোলাও চালের পায়েস ও মুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা। নাস্তা সেরে নিজেদের কুশলাদি বিনিময় সেরে বিশ্রামে।
সাড়ে ১১টার দিক জেল সুপার কারা বন্দিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তাদের দলনেতাদের মাঝে লুডু ও দাবা বিতরণ করেন। ঘড়ির কাটায় দুপুর ১২ টা। ঘণ্টা বেজে উঠল, মাইকে ঘোষণা দুপুরের খাবার নেয়ার ডাক এলো। নানা বয়সী কারা বন্দী সুশৃঙ্খল লাইনে খাবার সংগ্রহের জন্য।
পোলাও, মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস, খাসির মাংস, সালাদ, পান, সুপারি ও মিষ্টি সাজানো। প্রথমেই সেলের ৫ কয়েদি (ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত) ও নারী বন্দিদের খাবার পাঠানো হয়। পরে সারিবদ্ধভাবে খাবার সংগ্রহ করেন কারাবন্দিরা।
আরও পড়ুন: ঈদের দিনেও চুলায় মাছ-ভর্তা, মাংস জোটেনি উপকূলের ছিন্নমূল পরিবারে
কথা হয় কারাবন্দি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলেন, ‘চার দেয়ালের মাঝে পরিবার ছাড়া ঈদ করাটা বেশ কষ্টের। ঈদের দিন পরিবারের লোকজন আসেন সাক্ষাতের জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও ফোনে পাঁচ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পাই, যেটায় কষ্টটা ভুলিয়ে দেয়। কারাগারে বড় খানার আয়োজন করে, আমরা এই বিশেষ দিনে উন্নতমানের খাবার খাই, যেটাতে কিছুটা হলেও বাড়ি থাকার অনুভূতি আসে। কারাগারে সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করি, আর যাদের পরিবার দেখা করার জন্য আসেন তাদের তো খুশির সীমানা থাকে না।’
আরও বলেন, ‘কারাগারের পরিবেশ এখন পরিচ্ছন্ন। আমাদের খাবার ও আগের তুলনায় অনেক ভালো। তবে বাইরে যারা আছেন তাদের প্রতি আহ্বান কেউ অপরাধ কর্মের সঙ্গে জড়াবেন না, দেশের আইন মেনে চলুন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। জীবনটা অনেক সুন্দর, পরিবারের সঙ্গে জীবনটা উপভোগ করুন।
নড়াইল জেলা কারাগারের জেল সুপার সঞ্জয় ঘোষ সময় সংবাদকে বলেন, বিশেষ দিনে ২৯৫ জন কারাবন্দির জন্য উন্নত মানের খাবারেরর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিশেষ দিনে তাদের পরিবারের লোকজন সাক্ষাৎ করছেন, তারা নিয়ম মেনে ফোনে কথা ও বলছেন। তাদের খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক বিষয়ে অংশগ্রহণ মূলক কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করি। কারাগারের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমরা চাই আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তারা তাদের বাইরের জীবনটা সুন্দরভাবে গড়ে তুলুক।