সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল সিনিয়র জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস।
মামলায় আসামিরা হলেন- পৌরসভার বাসিন্দা মো: বাহার উদ্দিন (৬১) ও নোয়াখালী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের রেকর্ড কিপার মো: হুমায়ন কবীর গাজী (৫৭), ডি/ম্যান, মো: খায়রুল আলম ভূঞা (৫৬), কপিষ্ট সুভাস কান্তি চাকমা (৫৫) প্রমুখ।
দুদকের এজাহারে বলা হয়, আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে রেকর্ডকৃত সম্পত্তি জাল খতিয়ান তৈরি করে আত্মসাৎ করেন। জাল খতিয়ানগুলো আসল হিসেবে প্রতিস্থাপন করতে সেগুলোকে বাইন্ডিং ভলিউমে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং পরে তা জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জর্জ কোর্ট এবং এসি ল্যান্ড অফিসে সংরক্ষণ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার আইউবপুর মৌজার ৪ নম্বর ডিপি খতিয়ানভুক্ত ১.৬০ একর জমি- যার দাগ নম্বর ২২২১, ২২২৫, ২২২৮, ২২২৯, ২২৪৬ এবং ২২৫২ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন ছিল।
আরও পড়ুন: ১০ লাখ টাকা দাবি দুদক কর্মকর্তার, অভিযোগ নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে ঠিকাদার
অভিযোগ অনুযায়ী, মো. বাহার উদ্দিনের সহযোগিতায় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তারা জাল রেকর্ডের মাধ্যমে ওই জমি তার নামে ১১২ নম্বর খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং তা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।