নোবিপ্রবির তৃতীয় একাডেমিক ভবনসহ ৩৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রকল্প একনেকে পাস

৬ ঘন্টা আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ৬ষ্ঠ সভায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তৃতীয় একাডেমিক ভবন ও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য ৩৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।


এক বার্তায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর এ স্বপ্ন পূরণের পথে আমরা অগ্রসর হলাম। নোবিপ্রবির দুঃখ বলে খ্যাত তৃতীয় একাডেমিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘদিনের দুঃখ লাঘব হবে। একই সঙ্গে জ্ঞান, গবেষণা ও শিক্ষার নতুন পরিবেশ তৈরি হবে এবং শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণা অবকাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আসবে।’


উপাচার্য আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকট, ল্যাবরেটরি সমস্যা ও গবেষণা অবকাঠামোর অভাব অনেকটাই দূর হবে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এসেছি। আজকের এ অর্জন নোবিপ্রবিকে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও সুদৃঢ় অবস্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।’


আরও পড়ুন: একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন


অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘আমি এ প্রকল্প অনুমোদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ যারা এক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ।’


ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকালে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ এবং পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. জামাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক, গবেষণা ও সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ অর্থের সবচেয়ে বড় অংশ ব্যয় হবে দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় থাকা ১০ তলা একাডেমিক ভবন-৩ নির্মাণে। এছাড়াও অন্যান্য উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে, ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ, কেন্দ্রীয় মসজিদের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় তলা), কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশন, ১০০ কেভি সাব-স্টেশন স্থাপন, শিক্ষক ও কর্মচারী ভবনে লিফট স্থাপন, ১৫০ কেভি জেনারেটর ক্রয়, ক্যাম্পাসে এলইডি লাইট স্থাপন, আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ সংযোগ, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, অফিস সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র ক্রয় এবং অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ক্রয় ইত্যাদি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন