ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী শুক্রবার বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলায় যুক্ত দুই কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে; পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলে তারা অভিযান বৃদ্ধি করেছে। এই যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার একদিন পর এমন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
হামাসের মিত্র লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গেও লড়াই করছে ইসরায়েল। এএফপিটিভি-র লাইভ ফুটেজে দেখা গেছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলিতে, যেখানে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটি রয়েছে, শুক্রবার সকালে বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) বৃহস্পতিবার বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অন্যান্য অপরাধ ও যুদ্ধের কৌশল হিসেবে মানুষকে অভুক্ত রাখা (দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি) একটা যুদ্ধাপরাধ এবং এর “ফৌজদারি দায়” ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সে দেশের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের উপর চাপতে পারে।
দি হেগের এই আদালতের সিদ্ধান্তে বিশ্বনেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ইসরায়েলিরা যদি তাদের দেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে তাহলে গ্রেফতার করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-সহ অন্যান্য নেতারা আইসিসির সিদ্ধান্তকে নিন্দা করেছেন; নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তকে “অযৌক্তিক” ও “ইসরায়েলের ইহুদি-বিদ্বেষজনিত ঘৃণা দ্বারা চালিত” বলে অভিহিত করেছেন।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগকেও একইভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে এ নিয়ে মামলা করা হয়েছিল এবং আরও সম্প্রতি, গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশেষ এক কমিটি এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে।
হামাস ও হিজবুল্লাহকে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্য অনেক দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, বেইত লাহিয়া ও সংলগ্ন জাবালিয়াতে রাতের মধ্যে ইসরায়েলি হানার পর কয়েক ডজন নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে যে এলাকাগুলি ইসরায়েলের নিশানায় রয়েছে তার মধ্যে এই দুই অঞ্চল রয়েছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ঠিক কতজন নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।