সন্তান লাভের কুরআনি আমল
আল্লাহর নবী ইবরাহিম আ. আল্লাহর কাছে নেক সন্তানের জন্য দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। দোয়াটি ছিল এরকম ‘রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এক সুপুত্র দান করুন।’ (সুরা সাফফাত ১০০)
যারা নেক সন্তান চান, আল্লাহর কাছে নবী ইবরাহিমের এ দোয়াটি পড়ে দোয়া করতে পারেন। দোয়াটি ছোট, নামাজের পর মুনাজাতে, হাঁটতে চলতে দোয়াটি পড়তে পারেন। رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ উচ্চারণ: ‘রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন।’
পুত্র সন্তান লাভের দোয়া ও আমল
হযরত জাকারিয়া আ. নিঃসন্তান ছিলেন। হযরত মারইয়াম আ. বায়তুল মোকাদ্দাসে জাকারিয়া আ.-এর তত্ত্বাবধানে লালিত পালিত হচ্ছিলো। একদিন তিনি দেখলেন, আল্লাহ তাআলা মৌসুম ছাড়াই মারইয়াম আ.-কে ফল দান করেছেন। তিনি তার রুমে বসে এমন ফল খাচ্ছেন, যার মৌসুম তখন ছিলো না। আল্লাহ তাআলা তাকে এমন ফলের রিজিক দান করেছেন। তখন তার মনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠল।
আরও পড়ুন: কোরআন তিলাওয়াত করতে মাথা ঢাকতে হয়?
তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন, মাইয়াম কে আল্লাহ মৌসুম ছাড়া ফল খাওয়াতে পারলে আমাকেও সন্তান দিতে পারেন। তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান ৩৮)
সন্তান হওয়ার দোয়া ও আমল
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পরিচয়ে অনেক গুণাগুণের কথা কোরআনে বলা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, তারা পুণ্যবান স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া করেন। এমন একটি দোয়া আল্লাহ তাআলা শিখিয়ে দিয়েছেন। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুন, ওয়া জাআল না লিল মুত্তাকিনা ইমামা।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের জীবনসঙ্গীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করুন এবং আমাদের আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শস্বরূপ দান করুন।’ (সুরা ফুরকান ৭৪)
ছেলে সন্তান হওয়ার আমল
হযরত জাকারিয়া আ. সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন, ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান ৩৮) আল্লাহ তার দোয়া কবুল করলেন। তাকে ছেলে সন্তান দান করলেন।
দ্রুত সন্তান লাভের আমল
হযরত জাকারিয়া আ. দোয়া করেছিলেন, আরবি উচ্চারণ: রাব্বি লা তাযারনি ফারদান ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসিন। অর্থ: হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখ না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস। (সুরা আম্বিয়া ৮৯) এই দোয়া কবুল হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্য তার স্ত্রীকে প্রসবযোগ্য করেছিলাম।’ (সুরা আম্বিয়া ৯০)
সন্তান লাভের পরীক্ষিত আমল
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম আছে। যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির করবে; সে জান্নাতে যাবে।’ আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلْاَوَّلُ) ‘আল-আউয়ালু’ একটি। এ গুণবাচক নামের এ ছোট্ট আমলে সন্তান লাভের মনোবাসনা পূর্ণ হয়।
আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلْاَوَّلُ) ‘আল-আউয়ালু’-এর জিকিরের আমল বেশি বেশি করবে। উচ্চারণ : ‘আল-আউয়ালু’ অর্থ: ‘সব কিছুর শুরু’
ছেলে সন্তান লাভের আমল
নিয়মিত ইস্তেগফারে অকল্পনীয় সাহায্য পাওয়া যায়। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন। সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (আবু দাউদ: ১৫২০)
‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান ৩৮) এ দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে। আর ছেলে হলে তার নাম মুহাম্মদ রাখবেন। এভাবেও দোয়া করতে পারেন, হে আল্লাহ আমার যদি ছেলে সন্তান হয়, আমি আপনার হাবিবের নামে নাম রাখবো। আর মেয়ে সন্তান হলে কোনও রকম মন খারাপ করা যাবে না। মেয়ে সন্তান সবচেয়ে বেশি বরকতের।
পুত্র সন্তান লাভের আমল
মাতৃগর্ভে বীর্য প্রথম ৬ দিন কেবল বুদ্বুদ আকারে থাকে। তারপর জরায়ুতে সম্পর্কিত হয়। তিন মাসের আগে ছেলে বা মেয়ে সন্তান চিহ্নিত হয় না। চার মাস পর রুহ সঞ্চারিত হয়ে বাচ্চা নড়েচড়ে ওঠে ও আঙুল চুষতে থাকে। যাতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে মায়ের স্তন চুষতে অসুবিধা না হয়। এ সময় তার কপালে চারটি বস্তু লিখে দেওয়া হয়। তার আজাল (হায়াত), আমল, রিযিক এবং সে ভাগ্যবান না দুর্ভাগা। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২)
‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান ৩৮)
সন্তান লাভের আমল
এমন একটি দোয়া আল্লাহ তাআলা শিখিয়ে দিয়েছেন। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুন, ওয়া জাআল না লিল মুত্তাকিনা ইমামা।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের জীবনসঙ্গীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান করুন এবং আমাদের আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শস্বরূপ দান করুন।’ (সুরা ফুরকান ৭৪)
সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে কীভাবে দোয়া করব
সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে নবীরা যেভাবে দোয়া করেছিলেন সেভাবে দোয়া করা উচিত। জাকারিয়া আ. আল্লাহর কাছে বৃদ্ধ বয়সে দোয়া করলেন। আল্লাহ সন্তান দিলেন। আপনিও নবীদের মত করে দোয়া করুন, আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ নিরাশ করবেন না। জাকারিয়া আ. দোয়া করলেন, ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দোয়া।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান ৩৮)