নেই দক্ষ জনবল, ভোলা জেনারেল হাসপাতালে অচল আইসিইউ ও আরটিপিসিআর ল্যাব

৪ দিন আগে
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ও ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়েছে। তবে দ্বীপজেলা ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরটিপিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ ইউনিট অচল অবস্থায় পড়ে আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দক্ষ জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটগুলো। তবে জনবল পেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মনোয়ারা বেগম নামে এক রোগী গত ২৬ জুন ভর্তি হন ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। আইসিইউ না থাকাসহ প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে দুই দিন পর, তাকে বরিশাল নিতে বাধ্য হন স্বজনরা। একই কারণে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত আরও তিন রোগীকে ঢাকা ও বরিশাল পাঠানো হয়।

 

রোগীর স্বজনরা জানান, বন সই ছাড়া রোগীর চিকিৎসা করছেনা না চিকিৎসকরা। রোগী মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতেই এ পন্থা অবলম্বন করছেন, না হলে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা বলছেন।

 

আরও পড়ুন: মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা, কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে

 

ভোলা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. কায়ছার আলম বলেন, হাসপাতালে পরিপূর্ণভাবে সিসিইউ ও আইসিউ চালু করা গেলে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া যেত।

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে হাসপাতালটিতে ছয়টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হয়। এছাড়া পাঁচটি ভেন্টিলেটর, সাতটি অক্সিজেন কনসেনটেটর ও ছয়টি হাইফ্লু ন্যাজাল ক্যানুলা সরবরাহ করা হয়। তবে জনবলের অভাবে গত চার বছরেও আইসিইউ ইউনিটটি চালু হয়নি।

 

এমনকি সরঞ্জামাদি ব্যবহারে অভিজ্ঞ একজন ডাক্তার বা নার্সও নিয়োগ দেয়া হয়নি। এছাড়া করোনা ভাইরাস শনাক্ত করতে প্রায় একই সময়ে আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। করোনার প্রভাব কমে যাওয়ার পর বন্ধ করা ল্যাবটি আর চালু হয়নি দক্ষ জনবলের অভাবে।

 

আরও পড়ুন: গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা কম, ভোগান্তিই বেশি

 

তবে জনবল পেলে আইসিইউ ও করোনার পিসিআর ল্যাব ফের চালুর আশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ভোলা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমান বলেন, কনসালটেন্ট পদ ফাঁকা রয়েছে। সেসব পদে পদায়ন হলে হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানো সম্ভব।

 

ভোলা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, পূর্ণ লোকবল ও সেটআপ ছাড়া আইসিউ ও সিসিইউ ইউনিট চালু করা খুবই কঠিন।

 

হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি রোগীর করোনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু আইসিইউ ইউনিটে এখন পর্যন্ত একজন রোগীরও চিকিৎসা দেয়া হয়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন