বুধবার (২০ নভেম্বর) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের সই করা এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতি বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সুরাইয়া জান্নাত সম্পার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোগীর স্বজন নামের সন্ত্রাসীরা অযৌক্তিক দাবি পূরণ না করায় এই হামলা চালায়। তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় ও হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তারের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। অনুমতি ছাড়া ফেসবুক লাইভে গিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করা হয়-যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত অপরাধ।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে হাসপাতালগুলোতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া প্রেতাত্মারা আজও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়িত রয়েছেন, তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা স্বাস্থ্যখাত থেকে শুরু করে সব খাতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক হাসপাতালগুলোতে হামলা ও চিকিৎসকদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।
এভাবে চলতে পারে না উল্লেখ করে ডা. সুরাইয়া জান্নাত সম্পার ওপর হামলার নিন্দা জানান বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতসহ অতীতের চিকিৎসকদের হেনস্তাকারী সব দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
একইসঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর যারা এখনো সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তাদের অপসারণ করে দেশের বিরুদ্ধে করা সব ষড়যন্ত্র ও স্বাস্থ্যখাতকে অস্থিতিশীল করার কূটকৌশল রুখে দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
]]>