জেলেরা জাল গুছিয়ে, ট্রলারে বরফ, খাবার, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল তুলে গভীর সমুদ্রে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ কেউ আগেভাগেই সাগরে রওনা হয়েছেন। দীর্ঘ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া হাজারো জেলে ও ট্রলার শ্রমিকদের মাঝে এখন স্বস্তি ও উৎসাহ বিরাজ করছে।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে রফিক হাওলাদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন বসে ছিলাম। কোনো আয়-রোজগার ছিল না। ধার-দেনা করে চলেছি। এখন সাগরে গিয়ে ভালো মাছ পেলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মাছের প্রজনন বেড়েছে এবং ইলিশের ঘনত্ব বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছি যেন কেউ নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ না করে।’
আরও পড়ুন: কেন কক্সবাজার সমুদ্রে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল?
নিরাপত্তার বিষয়ে কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উপকূলের মানুষের কাছে ইলিশ মৌসুম শুধু মাছ ধরার সময় নয়, এটি জীবিকার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই দীর্ঘ অপেক্ষার পর সাগরে নামার সুযোগ পেয়ে জেলেদের মনে এখন একটাই আশা ভরা মৌসুমে ফিরবে রুপালি স্বপ্ন, ঘুরে দাঁড়াবে উপকূলের অর্থনীতি।
উল্লেখ্য, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও মজুদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রতিবছর ২০ এপ্রিল থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে এবার জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞার সময় এগিয়ে এনে ১৪ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের জন্য তা কার্যকর করা হয়। এ সময়ে ইলিশসহ সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ ধরা এবং গভীর সমুদ্রে ট্রলার চলাচল নিষিদ্ধ ছিল।
]]>