সম্প্রতি চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়ার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। জুলাই বিপ্লব এবং শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের অবসানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার, আইনি সংস্কার শুরু এবং জোরপূর্বক নিখোঁজ ও অন্যান্য নির্যাতনের তদন্ত।
আরও পড়ুন: গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে ‘মায়ের ডাকের’ মানববন্ধন
২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে সীমিত সময়ের মধ্যে মানবাধিকার সুরক্ষা সম্প্রসারণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতের পশ্চাৎপদ অগ্রগতি রোধের জন্য শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে নিরাপত্তা খাত এখনো সংস্কার হয়নি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জবাবদিহি ও সংস্কারপ্রচেষ্টায় সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করছেন না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে সংঘটিত গুরুতর নির্যাতনের জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে, কিন্তু অবিলম্বে চলমান স্বেচ্ছাচারী গ্রেফতার ও আটক বন্ধ করা উচিত, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং গ্রহণযোগ্য তথ্য-প্রমাণের ঘাটতি রয়েছে এমন মামলাগুলোতে।
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আপনি উল্লেখ করেছিলেন, জাতিসংঘে রোহিঙ্গা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একমাত্র সমাধান হলো তাদের স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা। নতুন আগতদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের সুযোগ দেয়া জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার চূড়ান্ত লক্ষ্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। তবে ২০২৩ সালের শেষ পর্যায় থেকে শুরু করে আসা দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ সব রোহিঙ্গার জন্যই মিয়ানমারের কোনো অংশই এখন স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ নয়।
বাংলাদেশে বসবাসকারী সবার অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দ্রুত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে-
জুলাইয়ের অভ্যুত্থান এবং গত ১৫ বছরে সংঘটিত গুরুতর নিপীড়নের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করুন। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন। মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের মামলায় র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিষয়ে বেসামরিক আদালত যেন আইসিটির এখতিয়ারকে সম্মান করে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনী পূর্ণ সহযোগিতা দেয়। অভিযুক্তরা যেভাবেই হোক-প্রাতিষ্ঠানিক বা রাজনৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে-তাদের বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়ার জন্য আইসিটিকে প্রয়োজনীয় আইন, সম্পদ ও স্বাধীনতা দেয়া উচিত। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আইসিটির অধীনে থাকা মামলাসহ সব ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড প্রদান স্থগিত রাখার ঘোষণা দিতে।
অতীতের ধারাকে ভেঙে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্ত করা এবং ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) ক্ষমতা সীমিত করাসহ নিরাপত্তা খাত সংস্কার করা জরুরি। দায়মুক্তির কারণে র্যাবের গুরুতর অপরাধ সংঘটনের রেকর্ড প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্কারের বাইরে নিয়ে গেছে, তাই সামরিক বাহিনীর সব কর্মীকে বেসামরিক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত। গুম ও অন্যান্য গুরুতর নিপীড়নে ডিজিএফআইয়ের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে যে, এর কার্যক্রম কেবল সামরিক গোয়েন্দা কাজে সীমিত থাকা প্রয়োজন। এছাড়া, এর কর্মকাণ্ড স্পষ্ট আইনগতভাবে সীমাবদ্ধ এবং সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট থাকা জরুরি।
গুমকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিন এবং গুমবিষয়ক তদন্ত কমিশনকে তাদের ম্যান্ডেট সম্পূর্ণ করতে সহযোগিতা করুন। অন্তর্বর্তী সরকারকে খসড়া ‘এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স প্রিভেনশন অ্যান্ড রেড্রেস অর্ডিন্যান্স’ গ্রহণ করতে হবে, তবে এর আগে নিশ্চিত করতে হবে যে এটি ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। গুমবিষয়ক তদন্ত কমিশন যেন তাদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করতে পারে, তার জন্য পর্যাপ্ত সময় ও সম্পদ নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে, যার মধ্যে আটক কেন্দ্রগুলোতে অবাধ প্রবেশের সুযোগ এবং সব প্রাসঙ্গিক নথি দেখার সুযোগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা গুম-খুন না হলে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হতো না: আখতার
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) প্যারিস নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংস্কার করতে হবে, এই সংস্কারের মাধ্যমে কমিশনের কার্যকারিতা বাড়ানো এবং সদস্য নির্বাচন ও আর্থিক অবস্থার উপর রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসারে এবং দেশীয় আইনের আওতায়, নিরাপত্তা বাহিনী ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের যথাযথ তদন্তের জন্য এনএইচআরসির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃত্ব থাকা জরুরি।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, সরকারি গোপনীয়তা আইন এবং দণ্ডবিধির আওতায় ফৌজদারি মানহানিসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার সীমাবদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত আইনগুলোকে বাতিল বা সংশোধন করতে হবে। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করেছে, তবে তার প্রতিস্থাপনকারী ২০২৫ সালের সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ। এতে অস্পষ্ট ও বিস্তৃত শব্দ ব্যবহারের কারণে রাষ্ট্রের আগ্রাসনের গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে খসড়া ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং খসড়া জাতীয় তথ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ সংশোধন করা জরুরি। কারণ, এগুলোতে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের জন্য বিরাট ছাড় থাকবে। এসব খসড়া যেন প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও অযাচিত নজরদারি রোধ করা যায়, সে জন্য এগুলোর সংশোধন করতে হবে। অধ্যাদেশগুলো যেন অধিকারভিত্তিক হয় এবং এতে বিশ্বের সেরা চর্চাগুলোর প্রতিফলন থাকে, তা নিশ্চিত করতে অংশীজনদের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ আবশ্যক।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি এবং সাংবাদিকদের নির্বিচারে গ্রেফতার ও আটক থেকে রক্ষা করতে হবে; তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা যাই মনে করা হোক না কেন। বিশেষ করে যেখানে অভিযোগের যথাযথ ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই বা মত প্রকাশ ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে তারা রাষ্ট্রীয় ও অ-রাষ্ট্রীয় উভয় পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের হয়রানি ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এবং কোনো আক্রমণের ক্ষেত্রে দ্রুত, স্বাধীন ও কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত করে। পাশাপাশি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি, যাতে দেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
নির্বিচারে গ্রেফতার ও আটক প্রতিরোধ করা এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনকারী সব মামলা খারিজ বা প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া উচিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব, ২০২৪ সালের আগস্টের আগে এবং পরে দায়ের হওয়া এই ধরনের মামলাগুলো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নির্বিশেষে পুনঃপর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনে খারিজ করা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সদস্য ও সমর্থকরাও অন্তর্ভুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ আনা হয়েছে বা আটক করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে আরোপিত ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে, যা সংগঠন, সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অত্যধিকভাবে সীমিত করেছে। এই আইন ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সদস্য এবং শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জড়িত অনুমিত সমর্থকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। জাতিসংঘের ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছিল, যেখানে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত রাজনৈতিক দলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থেকে বিরত থাকা। কারণ এটি প্রকৃত বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কার্যত বাংলাদেশের ভোটারদের একটি বড় অংশকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর তহবিল ও কার্যক্রমের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করুন এবং এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো সংস্কার করুন। এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো অতীতে নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর ওপর নজরদারি ও হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এগুলোর মধ্যে প্রকল্প ও আন্তর্জাতিক তহবিলের অনুমোদন বিলম্ব বা বাতিল করার মতো বিষয় রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং বিদেশি অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যকলাপ) নিয়ন্ত্রণ আইন পর্যালোচনা ও সংস্কার করা, যাতে নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক তহবিলের ওপর অতিরিক্ত বিধিনিষেধ বা তদারকির অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের: তাজুল ইসলাম
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন থেকে রক্ষা করতে হবে এবং তাদের চলাচল, জীবিকা ও শিক্ষার স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ কমানো জরুরি। ২০২৩ সালের শেষের দিকে পালিয়ে আসা দেড় লাখের বেশি রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গার জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য বা অন্য কোনো অংশ বর্তমানে নিরাপদ নয়। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে, কারণ পরিস্থিতি স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ নয়। পাশাপাশি, ক্যাম্পের চলাচল, জীবিকানির্বাহ এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করা বিধিনিষেধও কমানো উচিত। সাহায্য হ্রাসের পরিস্থিতিতে ক্যাম্পের অবস্থা উন্নত করা, সাহায্য নির্ভরতা কমানো এবং শরণার্থীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চলমান তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশি ভূখণ্ডে আইসিসি কর্তৃক নির্দেশিত যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে হস্তান্তরের মতো বিষয় রয়েছে।
এই চিঠিতে অংশ নিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ছাড়াও নিউইয়র্কভিত্তিক সাংবাদিকদের অধিকার সংরক্ষণকারী সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষাকারী সংস্থা সিভিকাস, থাইল্যান্ডভিত্তিক রোহিঙ্গাদের অধিকার সংরক্ষণকারী ফোরটিফাই রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩








Bengali (BD) ·
English (US) ·