বুধবার (১১ জুন) লন্ডনের প্রভাবশালী নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত নীতি সংলাপে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।
ওই সাংবাদিক প্রধান উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি স্পষ্টতই হতাশ। নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে এবং একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে, আপনি কি সেই সরকারের অংশ হতে আগ্রহী?
জবাবে দুই হাত নেড়ে হাস্যোজ্জ্বল ড. ইউনূস বলতে থাকেন, ‘নো ওয়ে, নো ওয়ে (একদমই না)। আমার মনে হয়, আমাদের মন্ত্রিসভার কেউই নতুন সরকারের অংশ হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং জনগণের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা–এটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নির্বাচন যদি সঠিকভাবে না হয়, তাহলে এই বিষয়টার আর সমাধান হবে না...।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘১৭ বছর পর আমরা সত্যিকারের একটি নির্বাচন করতে যাচ্ছি; যা আমাদের ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোট দিতে মুখিয়ে আছে দেশের তরুণ ভোটাররা। যারা গত ১৭ বছর ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’
গত শুক্রবার (৬ জুন) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জানান, আগামী বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে ভোট।
]]>