পিআর পদ্ধতিতে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কোনো দল মোট প্রদত্ত ভোটের ১০ শতাংশ পায়, তাহলে ৩০টি আসন পাবে সেই দল। বিদ্যমান ব্যবস্থায় কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পেলেও আসন নির্ভর করে জয়-পরাজয়ের ওপরে।
পিআর পদ্ধতির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে জনমত গঠনে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ধর্মীয় দলগুলো। জামায়াতে ইসলামী বলছে, ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতেই প্রয়োজন এ পদ্ধতি। পিআর নিয়ে মধ্যপন্থা নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুধু উচ্চকক্ষে এ পদ্ধতির পক্ষে দলটি। কোনো কক্ষেই পিআর পদ্ধতি না চাওয়া বিএনপি বলছে, বেশি আসনের লোভে এ পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় অনেকে। তবে দলটির মূল চিন্তা, এই পদ্ধতির মাধ্যমে পুনর্বাসিত হতে পারে আওয়ামী লীগ।
এ অবস্থায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জরিপ বলছে, উচ্চকক্ষ গঠনে পিআর পদ্ধতির পক্ষে ৭১ শতাংশ মানুষ। তবে নিম্নকক্ষ গঠনের বিষয়ে কোনো জরিপ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে: ইসি সচিব
জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘সব জায়গায় বহুদলীয় রাজনীতির যে চিন্তা চলছে, তা হলো সব মতকে সংসদে সমন্বয় করা। এটা পিআর পদ্ধতিতে সম্ভব। আমরাতো একটি নির্বাচনের কথা ভাবছি না, একটি দেশ যদি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়ে ভালো অবস্থানে থাকতে চায়, তাহলে অবশ্যই সর্বজন স্বীকৃত ভালো কাঠামোর মধ্যে আসতে হবে।’
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে অন্তত উচ্চকক্ষে পিআরের ক্ষেত্রে সব দলই যদি একটি জায়গায় আসে, তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে শতাংশ হিসেবে কয়েকটি পাওয়া যাবে। এই লোভেই অন্য দলগুলো পিআর চাইছে। কিন্তু এই লোভ করতে গিয়ে পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসনের করতে চাচ্ছে। দেশে ঘোলা পানি সৃষ্টি করলে লাভা কারো নয় আওয়ামী লীগের হবে।’
]]>