নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান হিজবুল্লাহর

৪ দিন আগে
সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ অস্ত্র ত্যাগ করলেই কেবল ইসরাইলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সরবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আলোচনায় লেবানন সরকারের ওপরও চাপ বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন।

জবাবে বৈরুত বলছে, প্রথমে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও অস্ত্রবিরতির পূর্ণ বাস্তবায়ন হতে হবে। সরকারের এ অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে হিজবুল্লাহ সাফ জানিয়েছে কোনো অবস্থাতেই তারা অস্ত্র ত্যাগ করবে না।

 

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনা সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে দীর্ঘ ছয় সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছে বৈরুত ও ওয়াশিংটনের। গণমাধ্যমের খবর, আলোচনায় হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের শর্ত জুড়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। 

 

দেশটি থেকে ইসরাইলি সেনা সরিয়ে নিতে হলে লেবাননের মন্ত্রিসভাকে প্রকাশ্যে হিজবুল্লাহকে নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

 

আরও পড়ুন: হামাসকে গাজার শাসন ও অস্ত্রত্যাগের আহ্বান আরব বিশ্বের

 

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, লেবাননের মন্ত্রীসভা এই সিন্ধান্ত না নিলে বৈরুতে আলোচনার জন্য দূত পাঠানো হবে না। সেইসঙ্গে বন্ধ থাকবে ইসরাইলের ওপর সেনা সরানোর চাপ প্রয়োগ। হিজবুল্লাহর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেয়ার কথাও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

 

এ বিষয়ে লেবাননের স্পিকার নবীহ বেরি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগে ইসরাইলকে অস্ত্রবিরতি মানতে হবে এবং জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার হতে হবে। তার অভিযোগ এ দাবিকে গুরুত্ব না দিয়েই হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণের জন্য মন্ত্রিসভার ভোট চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

 

হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম সাফ জানিয়েছেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের কথায় অস্ত্র ত্যাগ করবে না। বুধবার এক বার্তায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র লেবাননকে ধ্বংস করে ইসরাইলকে সুবিধা দিতে চাইছে এবং দেশের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কাসেমের মতে, যুক্তরাষ্ট্র লেবাননকে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।

 

আরও পড়ুন: দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে যৌথ ঘোষণাপত্র জারি সৌদি আরব-ফ্রান্সের

 

হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। কিন্তু তারপরও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটিকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র না করা পর্যন্ত হামলা অব্যাহত রাখবে বলে সতর্ক করেছে ইসরাইল।

 

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে ইসরাইল সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তরে লিতানি নদীর ওপারে সরে যেতে হবে। ওই অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা। অন্যদিকে ইসরাইলকেও লেবানন থেকে তাদের সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন