নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করেছে এনসিপি: আখতার

৩ সপ্তাহ আগে
এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা। তাইতো তৃণমূলে নিজেদের দল গোছাতে দম ফেলার ফুরসত নেই জাতীয় নাগরিক পার্টির। গত মাস থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়াতে অলিগলি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দলের কলেবর বৃদ্ধিতে আদাজল খেয়ে নেমেছে দলটির শীর্ষ নেতারা।

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপির  ইশতেহার, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন, জোটগত নির্বাচনের সম্ভাবনা এবং জেলা, উপজেলাসহ দলের তৃণমূলে কাদের প্রাধান্য দিচ্ছে দলটি এমন নানা বিষয়ে সময় সংবাদের সাথে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সময় সংবাদের প্রতিবেদক আব্দুর রশিদ জীবন।


সময় সংবাদ: আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তৃণমূল পর্যন্ত নিজেদের দল গোছানো কতটা সম্ভব হবে? জেলা, উপজেলা পর্যায়ে দলে কারা গুরুত্ব পাচ্ছে?


আখতার হোসেন: জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনসিপি আত্মপ্রকাশের পর থেকে সারা দেশব্যাপী বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। সারা দেশে আমাদের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি চলছে। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে হাজির হচ্ছি। সব মিলিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি সারা দেশে নিজেদের কলেবর বৃদ্ধিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমরা জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোতে যারা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছেন এবং একইসাথে দীর্ঘ সময় ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে যারা যুক্ত ছিলেন সিনিয়র সিটিজেন, তরুণ, বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ যারা সমাজে গ্রহণযোগ্য তাদের সকলকে আমরা আমাদের দলের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করবার চেষ্টা করছি।

সময় সংবাদ: রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির নিবন্ধনে আর কত সময় লাগবে?

আরও পড়ুন:  আবদুল হামিদের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন সারজিস

আখতার হোসেন: সারা দেশের অনেক জেলা এবং উপজেলায় আমাদের সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে। যে সংখ্যক জেলা এবং উপজেলায় কমিটি হলে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যায়, আমরা ইতোমধ্যে সেটা সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী অল্প সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য আমাদের সব ডকুমেন্টস নির্বাচন কমিশনে সাবমিট করতে পারব।

সময় সংবাদ: সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় আপনারা কতটা যেতে পেরেছেন? আপনারা কি মনে করেন জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আপনারা এগোচ্ছেন?

আখতার হোসেন: অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যেই রাজনৈতিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে এনসিপি। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের নাগরিক অধিকার এবং মানবিক মর্যাদা কে সমুন্নত  রাখতে যে ধরনের রাজনীতিকে বেছে নেয়া প্রয়োজন জাতীয় নাগরিক পার্টি সেই রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছে। জনমানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় সফর করেছি। ঈদের সময়েও আমাদের সংগঠকরা শহীদ পরিবার ও আহতদেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগ করছেন, কথা বলছেন। আমরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া পাচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যেই যে পর্যন্ত আমরা নিজেদের কলেবর বৃদ্ধি করতে পেরেছি, আমরা আশাবাদী সংগঠনকে আরও বিস্তৃত করতে পারব, সংগঠনের বার্তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে আমরা নিজেদের উপস্থাপন করতে পারব। তাদের আকাঙ্খা পুরনে সচেষ্ট হবো।

সময় সংবাদ: আপনাদের দলের ইসতেহারে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে?

আখতার হোসেন: ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণকে গুরুত্ব দিয়েই ইসতেহার ঘোষণা করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি। মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের যে কনসেপ্ট সেটাকে যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। একই সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ কৃষি শিল্পসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যকে মাথায় রেখে আমরা পলিসি নির্ভর রাজনীতির কথা বলছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবকিছু যেন মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে পৌঁছায় তেমন বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে আমরা আমাদের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র এবং ইশতেহারের যে বিষয়গুলো রয়েছে তা ঢেলে সাজাবো।

সময় সংবাদ: নির্বাচনে কোন দলকে আপনারা প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন?

আরও পড়ুন:  জামায়াত-এনসিপির কথায় নির্বাচন হলে, তা হবে জুলাই অভ্যুত্থানের পরিপন্থি: রাকিব

আখতার হোসেন: জাতীয় নাগরিক পার্টি বর্তমানে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রত্যেকটা পক্ষের সাথে আমরা বন্ধু ভাবাপন্ন সম্পর্ক রেখে চলছি। নির্বাচনের সময়কাল যখন ঘনিয়ে আসবে তখন ভোটের মাঠে ঠিক হবে, কাদের সাথে কাদের প্রতিযোগিতার জায়গাটা বেশি প্রকাশিত হলো। আগের থেকে ডিটেলস বলাটা উপযুক্ত নয় বলে মনে করি।

সময় সংবাদ: জোটগতভাবে নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা আছে কি?

আখতার হোসেন: এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি সবগুলো আসনে এনসিপির একক প্রার্থী দেয়ার। তবে যদি নির্বাচনের সময় সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে প্রয়োজনে জোটগঠনের ব্যাপারে আমরা দলীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।#

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন