২০০৯ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয় আদালতে। রিটটি করেন তরীকত ফেডারেশনের সে সময়কার সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ এবং সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ দলটির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। সবশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দুমাস পর জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল আবেদন পুনরুজ্জীবিত করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলে যায়। চলতি বছরের মার্চে নিবন্ধন ফিরে পেতে শুরু হয় আপিল শুনানি।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় ১ জুন
গত ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়। ৭ মে আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন মামলা দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানান আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
১৪ মে নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি শেষ হয়। রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
সুবিচার পাওয়ার আশা করছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ সরকার অন্যায়ভাবে জুলুম করে আমাদের নিবন্ধন বাতিল করেছিল। যারা আমরা জুলাই আন্দোলনের মিত্র ছিলাম সেই আন্দোলনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সরকারের কর্তব্য আমাদের প্রতি সুবিচার করা। নিবন্ধন প্রশ্নে বর্তমান সরকার আরও আন্তরিক হতে পারতো।
গোলাম পরওয়ারের আশা, নিবন্ধনের রায় জামায়াতের পক্ষে আশার পাশাপাশি বহাল থাকবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটিও।
]]>