সে ঘটনায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিপণনপ্রধান নিখিল সোসালেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া দলটির সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলির বিরুদ্ধেও আনা হয় অভিযোগ। যে কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
প্রথমবারের মতো আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেঙ্গালুরু, তবে আনন্দের বদলে একের পর এক দুঃসংবাদ পেয়েই যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এবার ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে বড় আয়োজনের জন্য অনুপযুক্ত ঘোষণা করে সেখানে ম্যাচ আয়োজন বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে বিচারপতি জন মাইকেল কুনিয়ার নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিশন। তবে কর্ণাটক সরকার যদি কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আগামী বছর আইপিএলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলতে পারবে না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের নকশা ও কাঠামো গণজমায়াতের জন্য অনুপযুক্ত ও অনিরাপদ। স্থানীয় পুলিশ অনুমতি না দিলেও সেদিন বেঙ্গালুরু শহরের বিধান সৌধ থেকে ভিক্টরি প্যারেড করতে করতেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছান কোহলিরা।
আরও পড়ুন: এবার বেঙ্গালুরুর পেসারের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ককে ধর্ষণের অভিযোগ
ওই দিন সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পেজগুলোতে কোহলিকে দিয়ে প্রচার চালায়। ভিডিও পোস্টে কোহলি ভক্ত-সমর্থকদের শিরোপা উৎসবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩২ হাজার হলেও কোহলির আমন্ত্রণে স্টেডিয়াম এলাকায় হাজির হন প্রায় ৩ লাখ মানুষ।
তদন্ত কমিশন বলেছে, ভবিষ্যতে যেকোনো ভেন্যুকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে। এ জন্য তারা কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় তালিকাভুক্ত করেছে।
সেগুলো হলো-
* স্টেডিয়াম এলাকায় দর্শকদের চলাচলের জন্য মূল সড়ক থেকে আলাদা পথ নির্মাণ করতে হবে যেন সবাই সারিবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলভাবে আসা-যাওয়া করতে পারেন।
* প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য পর্যাপ্ত গেট থাকতে হবে।
* সমন্বিত গণপরিবহন প্রবেশাধিকার পয়েন্ট ও পর্যটন কেন্দ্র থাকতে হবে।
* উপচে পড়া দর্শকদের সামাল দিতে পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা ও গাড়ি সহজেই বের হওয়ার মতো অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরিতে সাঙ্গাকারার পাশে, রানে পন্টিংকে ছাড়িয়ে শচীনের পেছনে রুট
কমিশন তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এ ধরনের অবকাঠামোগত পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান স্থানে (এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে) বিপুল জনসমাগমের ইভেন্ট আয়োজন অব্যাহত রাখা জননিরাপত্তা, নগরে চলাফেরা এবং জরুরি প্রস্তুতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামটি নির্মিত ৩২.৭৯ একর জমির ওপর। ১৯৭৪ সাল থেকে এই মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দুটি আইপিএল ফাইনালসহ এখানে ম্যাচ হয়েছে মোট ১০০টি।
স্টেডিয়ামটির দায়িত্বে আছে কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু এই ভেন্যুটির মালিকানা কর্ণাটক রাজ্যের গণপূর্ত বিভাগের। ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে ৯৯ বছরের জন্য মাঠটি তাদের ইজারা দেয় কেএসসিএকে।
]]>