রোববার (২৫ মে) বিকেলে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আটক সালমা বেগমের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায়।
একই ঘটনায় গত পাঁচ মাস আগেও একই উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে আটক হন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামের স্থানীয় মায়েদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খো়ঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুরে দাতমণ্ডল আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শাহিন মিয়ার স্ত্রী তাদের ৯ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে নিজঘরে ঘুম পাড়িয়ে পাশের ঘরে রান্নাবান্নার কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে তার শিশু সন্তানের কান্নার শব্দ শুনতে পেরে মূল ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার শিশু সন্তানকে কোলে করে নিয়ে একজন নারী পালিয়ে যাচ্ছে। পরে তিনিও চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয়রা ছোটে এসে অপহরণকারী ওই নারীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে শিশু অপহরণ, ৫ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করল পুলিশ
শিশুটির বাবা শাহিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ভেবেই গা শিউরে উঠছে। আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলে আমার মেয়েকে আর খুঁজেই পেতাম না। ওর উদ্দেশ্য কী ছিল বুঝতে বাকি নেই।’
বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা গোলাম জিলানী বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে পাঁচ মাস পূর্বে এক শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে জনতার হাতে আটক হয়। পরে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। এর আগেও সে একই ঘটনায় ধরা খেয়েছে বলে ফেসবুকে ভিডিও দেখেছি।’
ভুক্তভোগী মহিলা স্বীকার করেন এর আগেও অপহরণের ঘটনায় উপজেলায় একাধিকবার আটক হয়েছিলেন।
তার ভাষ্য, কোনো কাজ না থাকায় পেটের দায়ে সে এমন কাজ করেছে। তিনি জানান, স্বামী মারা গেছে, ছোট দুইডা মেয়ে আছে, তাই এসব করি।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত করে অভিযোগ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অপহৃত ছেলেকে ফিরে পেতে পরিবারের আর্তনাদ
প্রসঙ্গত: গত ১৫দিন ধরে কুলিকুন্ডা গ্রামের কুলিকুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিলো। কখনো স্কুলের টিউবওয়েলে পানি খেতে কিংবা আশপাশের বাড়িতে কাজ চাইতে, ভিক্ষা করতে গিয়ে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করতেন। গ্রামের অনেকেই তাকে সন্দেহের চোখে দেখলেও হাতে-নাতে ধরা না পড়ায় কেউ কিছু বলছিলেন না।