রোববার (২৭ জুলাই) রাতে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি খোলা নালায় পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি। ঘটনাস্থলের ওই ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ে শালিকচূড়া বিলে। তিন দিন পর, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শালিকচূড়া বিল থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
উদ্ধারের পর জ্যোতির মরদেহ চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হলে মা হারা জমজ দুই সন্তানের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে ওঠে। আত্মীয়-স্বজনরা ও স্থানীয়রা এক নজর দেখতে ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: ৩৭ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান, ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ তাসনিমের মরদেহ মিলল বিলে
দাফনের সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। জ্যোতির জমজ সন্তান মায়ের কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
নিহত জ্যোতি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মৃত বাবলু মেম্বারের মেয়ে। তিন ভাই বোনের মধ্যে জ্যোতি সবার ছোট।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে উন্মুক্ত ম্যানহোলে পড়ে নারী নিখোঁজ
জ্যোতি একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। টঙ্গীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ওষুধ বিপণনের কাজে গিয়েছিলেন।
নিহতের বড় ভাই মো. শোভন বলেন, ‘বোনের ফোন বন্ধ পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে তার ব্যবহৃত জুতা পেয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই।
]]>