রোববার (২২ জুন) হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিনে ৪৬৫ রান তুলে অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। জাসপ্রিত বুমরাহ ৮৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করে ইংলিশদের ধসিয়ে দিতে বড় অবদান রেখেছেন। তাতে প্রথম ইনিংসে ভারত ৬ রানের লিড পেয়েছে।
আগের দিনে অলি পোপের সেঞ্চুরি আর বেন ডাকেটের ৬২ রানে ভর করে ৪৯ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৯ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। পোপ ১০০ ও হ্যারি ব্রুক রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় ছিলেন।
আজ তৃতীয় দিনের শুরুতেই পোপকে ফিরিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। গতকালকের সঙ্গে আর মাত্র ৬ রান যোগ করেই রিশভ পন্তের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৩৭ বল খেলে ১৪ চারে ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরির তালিকায় শীর্ষে গিল, শান্ত কয় নম্বরে?
পোপের বিদায়ের পর ইনিংল্যান্ডের ইনিংস টেনেছেন ব্রুক। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটারকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক স্টোকস ও উইকেটকিপার জেমি স্মিথ।
দলীয় ২৭৬ রানে অধিনায়ক স্টোকসকে হারায় ইংলিশরা। ৫২ বলে ৩ চারে ২০ রান করে সিরাজের শিকারে পরিণত হন তিনি। স্টোকসের বিদায়ের পর জেমি স্মিথের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন ব্রুক। তুলে নেন ২৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১২তম অর্ধশতক। কিন্তু ওপর প্রান্তে ৫২ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করে কৃষ্ণার দ্বিতীয় শিকার হন স্মিথ।
ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে নবম টেস্ট শতকের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রুক। কিন্তু মাত্র ১ রান দূরে থাকতে কৃষ্ণার বলে কপাল পোড়ে ব্রুকের। শার্দুল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১১২ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৯৯ রানের ইনিংস খেলেন এই ২৬ বছর বয়সী।
ব্রুকের বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের লিড নেয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তবে ক্রিস ওকস ও ব্রেয়ডন কার্সের জুটি সেই পথেই এগিয়ে নিচ্ছিল তাদের। কিন্তু এই জুটি ভাঙে ৫৫ রান যোগ করে। ২৩ বলে ২২ রান করে কার্স সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তীর আয়োজনকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিলেন যুব বিশ্বকাপজয়ী
এরপর ইংল্যান্ডের ইনিংসের লেজ মুড়িয়ে দেন বুমরাহ। ৪৬০ রানের মাথায় ওকসকে বোল্ড করেন। আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৩৮ রান করেন ওকস। জশ টাং বোল্ড হন ১১ রান করে। শোয়াইব বশির ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
২৪.৪ ওভারে মাত্র ৮৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন বুমরাহ। এই নিয়ে টেস্টে ১৪তম বারের মতো এই কীর্তি গড়লেন তিনি। যার মধ্যে ১০বারই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন এসইএনএ (দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া) কান্ট্রিগুলোতে। এশিয়ান কোনো বোলার হিসেবে এই চার দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকারের কীর্তিতে মুরালিধরনের পাশে বসলেন বুমরাহ। সর্বোচ্চ ১১বার এই কীর্তি গড়েছেন ওয়াসিম আকরাম।
কৃষ্ণা ৩টি ও সিরাজ বাকি ২ উইকেট শিকার করেন।