নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে সরকারকে মামুনুল হকের হুঁশিয়ারি

৩ সপ্তাহ আগে
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। এই প্রস্তাবকে তিনি ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে ভারতের সংসদে পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াকফ বিল বাতিল ও মুসলিম নিধন বন্ধের দাবিতে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিলের আগে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

মামুনুল হক আরও বলেন, নারী বিশারদ যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা নারী নাকি পুরুষ; এটা দেখে বোঝা কঠিন। এমন কমিশন দিয়ে বাংলাদেশের আপামর তওহিদী নারী সমাজের প্রতি অপমান করা হয়েছে। কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন মেনে নেয়া হবে না।

 

আরও পড়ুন: হেফাজত নেতাদের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: আসিফ নজরুল

 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে বলা হয়, পাশের দেশ ভারতে প্রায় ২৫ কোটি মুসলমানের বসবাস। ১৯৪৭-এ দেশভাগের পর থেকেই ভারতে মুসলমানদের বঞ্চনা শুরু। মুসলমানের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়নের এই উন্মত্ততা ধীরে ধীরে গোটা ভারতে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। হিন্দু উগ্রবাদী বিজিপি সরকারের অধীনে এই নির্যাতন বহুমাত্রায় বেড়েছে। অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞ, দখল, অবৈধ অধিগ্রহণকে আইনি বৈধতা দিতে সম্প্রতি ভারতের সংসদে নিবর্তনমূলক বিতর্কিত ‘ওয়াকফ আইন সংশোধনী বিল ২০২৫’ পাস হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় সম্পত্তি (মসজিদ, কবরস্থান, মাদ্রাসা, খানকা ইত্যাদি) রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের আওতায় চলে যাচ্ছে।

 


 

এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ যাতে মুসলিম সমাজকে ধ্বংস করা যায় উল্লেখ করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জানায়,  নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, অমুসলিমদের (মূলত হিন্দুদের) সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ বলে বিবেচিত হবে কোনটা হবে না সরকারকে তা নির্ধারণের কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে। অথচ ওয়াকফ সম্পদ পরিচালনা ও ভোগের একমাত্র হকদার মুসলমামরা। ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে প্রায় ৯ লাখ স্থাপনা রয়েছে, জমির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ একর। এসব সম্পদের দাম আনুমানিক দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার। সবমিলিয়ে হিসাব করলে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও রেলওয়ের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ভূমির মালিক হচ্ছে মুসলমানদের ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান।

 

তারা আরও জানায়, ভারত সরকারের অব্যাহত মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। অথচ ভারত সরকার ও তার হলুদ-মিডিয়াগুলো অব্যাহতভাবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে নির্যাতিত ভারতীয় মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন