হামজা-সমিত-ফাহামেদুলের মতো প্রবাসী ফুটবলাররা সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লাল-সবুজদের ব্র্যান্ড ভ্যালু। হামজাদের ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনার মধ্যে অনেকটাই আড়ালে পড়ে গেছে দেশের নারী ফুটবল। বিদেশের মাটিতে ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের মতো দলকে রুখে দেয়ার পরও খুব একটা লাইমলাইটে আসেনি পিটার বাটলারের দল।
শক্তি বাড়াতে প্রবাসী নারী ফুটবলার দলে ভেড়াতে চায় ফেডারেশন। যেখানে বাফুফেকে সহযোগিতা করছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তবে কিছু জটিলতায় বিলম্ব হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘প্রবাসী ফুটবলাররা দলের জন্য সাময়িক সাফল্যের টোটকা হতে পারে। তবে দেশের মাটিতে ফুটবলার তৈরি করতে পারলে সেই সাফল্য হয় দীর্ঘস্থায়ী। টানা দুটি সাফ জিতে এর প্রমাণ আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য আরও একধাপ ওপরে ওঠা। দক্ষিণ এশিয়া নয়, এবার পুরো এশিয়ায় নিজেদের প্রমাণ করার সময় এসেছে।’
আরও পড়ুন: ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়েই চিরচেনা রূপে ফিরতে চায় রিয়াল
প্রবাসী নারী ফুটবলারদের বিষয়ে কিরণ জানান, ‘এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। একজন নারী ফুটবলারকে নিয়ে একবার আলোচনা হয়েছিলও। তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু জটিলতা থাকায় বিষয়টি এখনো এগোয়নি। জামাল ভূঁইয়া সেই ফুটবলারের ব্যাপারে বলেছিলেন।’
সিনিয়র-জুনিয়রের মিশেলে বর্তমান নারী ফুটবল দল ভারসাম্যপূর্ন। মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এ দল ভালো করবে বলেও প্রত্যাশা বাফুফের নারী কমিটির চেয়ারম্যানের। নারী দলের হেড কোচ পিটার বাটলারের পারফরম্যান্সের নিয়েও সন্তুষ্ট ফেডারেশন।
এদিকে, সাফ অনূর্ধ্ব ২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ভারত নাম সরিয়ে নিলেও আয়োজক হিসেবে শঙ্কিত নয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: ডি ব্রুইনার জায়গা নিতে নয়, সিটিতে নিজের ফুটবলটাই খেলতে চান রেইন্ডার্স
কিরণ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা প্রতিটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হই। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এবং লড়াই করে জিততে পছন্দ করি। এতে আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে, তেমনি বোঝা যায় দলটি আসলে কোন অবস্থানে আছে। ভারত শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করেছে, এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আমরা খেলব। তবে আমরা ভারতকে মাঠে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি চাই না দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পেয়ে ট্রফি জিততে। আমি চাই শক্ত প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হতে। তাতেই আসল আনন্দ। ভারত না এলেও আমি বিশ্বাস করি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হবে। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান আছে। তারা ভালো দল। আমরা মাঠে নামব জয়ের জন্য এবং ইনশাআল্লাহ শিরোপা নিয়েই মাঠ ছাড়ব।’
চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব ২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে চেয়েছিলো বাফুফে। তবে শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনাকে বেছে নেয় ফেডারেশন।
]]>