নারায়ণগঞ্জে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেয়া নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২

৩ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় উভয় পক্ষের প্রায় ১২ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন: আজহারুল ইসলামের অনুসারী যুবদল কর্মী মো. রতন, মামুন মোল্লা, রনি মোল্লা, মোবারক মোল্লা, রিফাত মোল্লা ও মো. ভুবন এবং রেজাউল করিমের অনুসারী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক নূর ইয়াসিন, যুবদল নেতা আতাউর রহমান, হাবিবুর রহমান, যুবদল কর্মী শাহ পরান ও শাহ আলম।

 

আহতদের মধ্যে যুবদল কর্মী মো. রতনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩

 

জানা গেছে, দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

 

উভয়পক্ষের নেতা-কর্মী, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোনারগাঁ থানা বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম এবং থানা বিএনপির বর্তমান সভাপতি আজহারুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলছে।

 

সোমবার সকাল দশটায় আজহারুল ইসলাম মান্নান তার অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপজেলা চত্বরে অবস্থিত সোনারগাঁ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানান। পরে উপজেলা কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ও সোনারগাঁর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল বারীর সঙ্গে বৈঠক করছিলেন আজহারুল ইসলাম। আজহারুল ইসলামের অধিকাংশ নেতা-কর্মী শহীদ মিনার থেকে চলে গেলেও কিছু নেতা-কর্মী উপজেলা চত্বরে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

 

এসময় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রেজাউল করিম। তখন উপজেলা চত্বরে থাকা আজহারুল ইসলামের সমর্থক ও রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান, কটূক্তি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

 

আরও পড়ুন: হরিণাকুন্ডুতে বিএনপির কর্মীসভায় অপর গ্রুপের হামলা, আহত ৭

 

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সেখানেই ছিলাম। পূর্ববিরোধ থেকে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। পরে শুনেছি একজন যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন