পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহত যুবকের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মো. তাকবীর ঐ এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে। গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাকবীর। তবে তার মুঠোফোন চালু থাকলেও কেউ রিসিভ না করায় পরিবার কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারেনি।
পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের পর দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাকবীরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক বছর পর মরদেহ উত্তোলন, অভিযোগ সত্য হলে হবে হত্যা মামলা
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়াপদা কলোনী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় মরদেহটি পরে থাকতে দেখেন আশপাশের লোকজন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহত তাকবীরের বাবা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আমার ছেলে তাকবীর বাসা থেকে বের হয়। রাতে আর বাসায় ফিরে আসেনি। তার মোবাইল ফোন চালু থাকলেও একাধিকবার কল দিলে সে রিসিভ করেনি। বুধবার দুপুরের পরে খবর পাই আমার ছেলের লাশ পাওয়া গেছে।
তাকবীরের বড় ভাই হৃদয় বলেন, একটি অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে আমাদের কাছে ফোন করে আমার ভাইকে আটকে রাখার কথা জানানো হয়। তারা আমার ভাইয়ের মুক্তির জন্য ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমরা তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলাম। এর কিছুক্ষণ পরই খবর পাই আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, তাকবীরকে মঙ্গলবার রাতেই হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার মাথা ও শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বিছানায় ২ সন্তানের গলাকাটা মরদেহ, পাশেই রশিতে মায়ের ঝুলন্ত লাশ
তিনি বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটিতে মাদক সেবীদের নিয়মিত আড্ডা বসার বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। মাদকসেবীরা এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তবে যে ফোন নম্বর থেকে কল দিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ টাকা চাওয়া হয়েছিল, আমরা ওই নম্বর ব্যবহারকারির পরিচয় ও কললিস্ট পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। এ বিষয়ে আমাদের চেষ্টা, তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত আছে।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
২





Bengali (BD) ·
English (US) ·