নামাজ ছাড়া অন্য সময় টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরা যাবে?

১ সপ্তাহে আগে
পোষাক পরিধান করা ইসলামের বিধান। পরিধানেরও কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। ইসলাম কখনো মানুষের জন্য কোনো কিছু কঠিন করে না। সহজের জন্যই বিধান দেয়া। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও ইসলামের বিধানগুলো স্বাস্থ্যসম্মত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

ইসলামে পোষাক-পরিচ্ছদ সংক্রান্ত বিধি-বিধান মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন মুসলমানের পোশাক শুধুমাত্র শালীনতাই নিশ্চিত করে না, বরং এতে তার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিক আদর্শের প্রতিফলন ঘটে। পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে শরীয়ত নির্ধারিত সীমারেখা মেনে চলা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব। এর মধ্যে পুরুষদের পোশাক টাখনুর উপরে রাখার বিষয়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

 

টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

 

যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে পোশাক ঝুলিয়ে পরিধান করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। (বুখারি: ৫৭৮৪, আবু দাউদ: ৪০৯৩, ৪১১৭৭)


 

আরও পড়ুন: কেমন ছিলো নবীজির দেশপ্রেম

 

এ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে অহংকার ও জাহিলিয়াতের মনোভাব দূর করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। টাখনুর নিচে পোশাক ঝুলানো অনেক সময় অহংকারের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনযাত্রায় এটি সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে যে, তিনি টাখনুর উপরে পোশাক রাখতেন আর সাহাবাদেরও এ বিষয়ে উৎসাহিত করতেন। এ বিধান শুধু পুরুষদের জন্য। নারীরা টাখনুর নিচে ঝুলিয়েই পরবে। 

 

ইসলামের প্রতিটি বিধানই মানুষকে শৃঙ্খলিত ও সৎ জীবনযাপনের পথে পরিচালিত করে। টাখনুর উপরে পোশাক রাখার নির্দেশনা মুসলিমদের নম্রতা, শালীনতা এবং অহংকারমুক্ত জীবনযাপনের শিক্ষা দেয়।


এই বিষয়টিকে ছোট বা অপ্রাসঙ্গিক মনে করা উচিত নয়, বরং এটি আল্লাহর নির্দেশ পালনের একটি অংশ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর নির্দেশনাগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন