এবার (৬জুন) শুক্রবার ফজরের নামাজ থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়া শুরু করতে হবে। (১০জুন) মঙ্গলবার আসরের নামাজ পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।
এ দিনগুলোতে নামাজ কাজা হয়ে গেলে কাজা নামাজ আদায়ের পরও তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। তাকবিরে তাশরিক সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَّعْدُودَاتٍ
অর্থাৎ আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে। (সুরা বাকারা ২০৩)
আরও পড়ুন: কোরবানির গোশতের সামাজিক বণ্টন কি জায়েজ?
কোরআনের ব্যাখ্যাকারদের মতে এ আয়াতে ‘নির্দিষ্ট দিন’ বলে তাশরিকের দিনগুলো অর্থাৎ জিলহজের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ বোঝানো হয়েছে। এ দিনগুলোতে ফরজ নামাজসমূহের পরবর্তী তাকবির ছাড়া অন্যান্য সময়ও বেশি বেশি জিকির করা উত্তম।
তাকবিরে তাশরিক
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, সব প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআলার জন্য।
তাকবিরে তাশরিক পড়তে ভুলে গেলে
অনেকে তাকবিরে তাশরিকের দিনগুলোতে ফরজ নামাজ আদায়ের পর তাকবির বলতে ভুলে যান। পরে কখনও নামাজের ওয়াক্ত থাকতেই স্মরণ হয়। আবার কখনও ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর অন্য নামাজের সময় স্মরণ হয়। পরবর্তীতে স্মরণ হওয়ার পর তাকবিরে তাশরিক পড়ে নিলে ওয়াজিব আদায় হবে কি না?
এ বিষয়ে ফিকাহবিদ আলেমরা বলেন, ফরজ নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক না বলে কেউ মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে, অথবা নামাজ নষ্ট করে এমন কোনো কথা বা কাজ করলে, অথবা অজু নষ্ট হয়ে যায় এমন কোনো কাজ করলে তাকবিরে তাশরিক আদায়ের সময় বাকি থাকে না।
আরও পড়ুন: কোরবানির গোশত জমিয়ে রাখা কি জায়েজ?
এক্ষেত্রে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়ার জন্য তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। আর নামাজের পর ওপরের কোনো কাজ না করলে দেরিতে হলেও তাকবিরে তাশরিক পড়ে নিতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।(আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭-১৭৯; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫)
]]>