৩ সপ্তাহ আগে
৫
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি করেন তিনি।
মাজহারুল বলেন, ‘ভোটের দিন নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ও অসঙ্গতি ছিল। তবে ভোট কারচুপি কিংবা ভোট চুরির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
ফলাফল যা-ই হোক মেনে নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা আছে আমাদের। স্বচ্ছভাবেই ভোট গণনা চলছে বলে মনে করি।’
ব্যালট সংগ্রহকারী কোম্পানিকে রাজনৈতিক তকমা দিয়ে ওএমআর পদ্ধতি বাতিল করাটা খুবই অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছেন শিবিরের এই জিএস প্রার্থী।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় ১০ম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের সংসদ নির্বাচনও হয়।
আরও পড়ুন: জাকসুর ফলাফলের বিষয়ে সবশেষ যা জানা গেল
সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে ৫টা পর্যন্ত। তবে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল। একই সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানায়। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরাও কারচুপি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেন। তবে শিক্ষার্থীদের অনেকেই এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক দোষারোপ হিসেবে দেখছেন এবং শেষ সময় পর্যন্ত ভোটগ্রহণে অংশ নিয়েছেন।
কোন হলে কত ভোট পড়লো?
ছাত্রদের আল বেরুনী হলে ২১১ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ১২৫টি, আফম কামাল উদ্দিন হলে ৩৪১ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২১৬টি, মীর মোশারফ হোসেন হলে ৪৬৪ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৩১০টি, শহীদ সালাম বরকত হলে ২৯৯ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২২৪টি, মওলানা ভাসানী-অনার্স হলে ৫১৪ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৩৮৪টি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২৬১টি, ১০ নম্বর ছাত্র হল-অনার্স হলে ৫৪১ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৩৮১টি, শহীদ রফিক জব্বার হলে ৬৫৬ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৪৭০টি, ২১ নম্বর ছাত্র হল-অনার্স হলে ৭৩৫ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৫৬৪টি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯১ জেরন বিপরীতে ভোট পড়েছে ৮১০টি, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জনের ভোটারের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৭৫২টি।
এদিকে ছাত্রীদের জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২৪৭টি, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮০ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ১৩৭টি, প্রীতিলতা হলে ৩৯৯ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২৪৬টি, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৯ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২৪৯টি, বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২৪৬টি, ১৩ নম্বর হলে ৫৩২ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ২৭৯টি, ১৫ নম্বর হলে ৫৭১ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৩৩৮টি, রোকেয়া হলে ৯৫৫ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৬৮০টি, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৮০৩ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৪৮৯টি, বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলে ৯৮৪ জনের বিপরীতে ভোট পড়েছে ৫৯৫টি।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন।
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·