নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানেও হামলার তথ্য নিশ্চিত করলো ইরান

২ সপ্তাহ আগে
ফোরদোর পর এবার নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনায়ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা করার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরান।

ইস্পাহানের গভর্নরের সহযোগী আকবর সালেহির বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘আইআরএনএ’। সালেহি বলেছেন, ‘আমরা ইস্পাহান ও নাতাঞ্জের পারমাণমিক স্থাপনায় আক্রমণ প্রত্যক্ষ করেছি।’

 

সালেহি জানিয়েছেন, ইস্পাহান ও নাতাঞ্জে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দও শুনেছেন তিনি।

 

এর আগে স্থানীয় সময় রোববার (২২ জুন) ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলার কথা নিজেই স্বীকার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা-ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে-খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’

 

আরও পড়ুন: আগের ভিডিও শেয়ার করে যুক্তরাষ্ট্রকে যে হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি

 

ইস্পাহান ও নাতাঞ্জের আগে ফোরদোতে হামলার বিষয়টিও নিশ্চিত করে ইরান। ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা কোমের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, ফোরদোর কিছু অংশ বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

কোম প্রভিন্সিয়াল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট হোডকোয়ার্টারের মুখপাত্র মোর্তেজা হায়দারি বলেন, কয়েক ঘণ্টা আগে, কোমের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার এবং শত্রু লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করার পর, ফোরদোর কিছু অংশ শত্রু বিমান হামলায় আক্রান্ত হয়েছিল।

 

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘আইআরএনএ’ দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা বলছে, আদতে সেখানে এমন কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে।

 

আরও পড়ুন: ইরানে হামলার পর ট্রাম্প-নেতানিয়াহু ফোনালাপ

 

ওই কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগেই হয়তো ওই স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছিল।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন