এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেন এবং তারা কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের আত্মসাৎ করা মোট ৫২ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মধ্যে ৫২ লাখ টাকা পুলিশের কাছে জমা দেন।
এর আগে সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে আয়ের লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, চীনা নাগরিকসহ গ্রেফতার ৫
গ্রেফতাররা হলেন: শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কার্য সহকারী (প্রজেক্ট) আরিফুল ইসলাম তুহিন (৩৫) এবং পিয়ন (আউটসোর্সিং) আশিক ভূঁইয়া (২৫)। তুহিন শিবপুর উপজেলা সদরের মো. হোসেন আলীর ছেলে এবং আশিক ভূঁইয়া একই উপজেলার খড়িয়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, শিবপুর উপজেলার পিআইও অফিস থেকে গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের ১৯১টি বিল হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দেয়া হয়। কিন্তু বাজেট না থাকায় এর মধ্যে ৮১টি বিল গত ২৬ জুন তারিখে বাউন্স হয়। পরে বিষয়টি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) দৃষ্টিগোচর হলে তারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে গোপনে অনুসন্ধান চালায়।
আরও পড়ুন: অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জাল সনদ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, দুদকের অভিযান
অনুসন্ধানে সিসিটিভি ফুটেজসহ প্রাথমিকভাবে পিআইও অফিসের ওই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলনের প্রমাণ মেলে। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাক্ষর জাল করে ব্যাংক হতে ৮১টি বিলের টাকা উত্তোলন করে নিজস্ব একাউন্টে জমা করেছিলেন।
এসব তথ্য শিবপুর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে উপস্থাপন করা হলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় কার্যালয় থেকে শিবপুর থানা পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন বলেন, ‘পিআইও এর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৫২ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনার মূলহোতা তুহিন। আটকদের আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’
]]>