সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পলাশ থানার ফটকে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, পলাশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এড. বাছেদ মিয়া, পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ, ডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামান ও ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভপতি মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি ও জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার খুনি খসরু চৌধুরীর ডান হাত সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনী পলাশ উপজেলা ছাত্রদল আয়োজিত শান্তি সমাবেশ ও মিছিলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ ও ছাত্রদল নেতাদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।
আরও পড়ুন: সাভারে সেনাবাহিনীর অভিযানে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে থেকে যেসব ছাত্রনেতা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে, সেই সব ছাত্রনেতার মধ্যে অন্যতম ছিলেন ছাত্রদল নেতা ইসমাঈল হোসেন ও রবিউল মিয়া। ১৭ বছর পর এসে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও তাদের দোসররা এখনও বিভিন্ন ছদ্মবেশে আমাদের মাঝে লুকিয়ে আছে।
বক্তারা বলেন, জুয়েল ও তার বাহিনীর গুলিতে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গুলিতে নিরীহ সিএনজি চালক সোহেল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার জন্য সন্ত্রাসী জুয়েল ও তার বাহিনীর সদস্যদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল ও সিএনজি চালক সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া পুলিশসহ অন্তত ছয় জন আহত হন।
আরও পড়ুন: গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে নিখোঁজ শিশুর তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি
এর মধ্যে ইসমাঈলের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান করে ৯ জনের নামে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
]]>